দেশের শীতলতম স্থান হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জেঁকে বসেছে শীত। মধ্য নভেম্বর থেকে এখানে শীতের আবহ শুরু হলেও শেষ দিকে এসে রীতিমতো বদলে যায় প্রকৃতি। ডিসেম্বরের শুরুতে তাপমাত্রা নেমে গেছে ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গাছের পাতায় লেগেছে হলুদের আভা। ধূসর কুয়াশায় ঢাকা চা বাগান সকাল- সন্ধ্যা পাচ্ছে মায়াবী রূপ। এলাকার জলাশয়গুলো মুখর শীতের পাখির কলতানে।
মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র মঙ্গলবার সকালে সর্বনি¤œ এই তাপমাত্রা রের্কড করে। যা ছিল সারাদেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা। ঢাকা আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ শ্রীমঙ্গলে রেকর্ডকৃত ১১.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রাই চলতি শীত মৌসুমে সারাদেশের মধ্যে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা।
এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিচিত্র হতে শুরু করেছে প্রকৃতির রূপ। চা বাগানের সারি সারি ছায়গাছগুলো সকাল-সন্ধ্যা ঢাকা পড়ছে ধূসর কুয়াশার চাদরে। শ্রীমঙ্গলের প্রসিদ্ধ পাখির অভয়ারণ্য বাইক্কা বিলসহ হাওর, বিল, জলাশয় ও চা বাগানের লেকগুলোয় আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখি। প্রকৃতির এই রূপের সুধা পান করতে পর্যটকদের ভিড়ও বাড়তে শুরু করেছে সবুজ-ঘন চা- বাগানগুলোয়।
এদিকে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস মনে করছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই তাপমাত্রা নেমে যাবে আরও নিচে পড়বে হাড় কাঁপানো শীত। নি¤œ আয়ের মানুষ ও চা শ্রমিকদের মধ্যে দেখা দিবে নানা রোগের প্রকোপ। তবে উপজেলার চা বাগানগুলোতে শীতের তীব্রতা বেশি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান জানান, ইতোমধ্যে উপজেলার শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রান ভান্ডার থেকে ৪ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা ইতোমধ্যে উপজেলার ৯ ইউনিয়নে শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ শুরু করা হয়েছে।