নীলফামারীর ডিমলায় মুক্তিযোদ্ধার জমি রাতের আঁধারে দখল করেছে প্রতি পক্ষের লোকজন। মঙ্গলবার রাতে উপজেলা সদরের দক্ষিন তিতপাড়া (মেডিকেল মোড়ে) ঘটনাটি ঘটে।
জানাগেছে, ৬৩ এর রেকর্ড মুলে দাগনং-১০৭(সাবেক)বর্তমান দাগ নং-১৯০,খতিয়ান নং-২৯১/১(সাবেক),হাল খতিয়ান নং-১১১, জেএল নং- ২৭ এর ১২ শতক জমির সাবেক মালিক দক্ষিন তিত পাড়া গ্রামের হুলিনাথ সিংহ রায়ের পুত্র হরেন্দ্রনাথ সিংহ রায়। তিনি ১৯৭৮ইং সালের ২৫ নভেম্বর তার দখলিয় ১২ শতক জমি একই এলাকার লক্ষিকান্ত শীলের ছেলে হিরালাল শীলের নিকট বিক্রয় করেন। পরবর্তিতে হিরালাল শীল মৃত্যু বরন করলে তার ছেলে বাদল চন্দ্র শীল ও স্বপন চন্দ্র শীল নাবালক থাকায় হীরালাল শীলের স্ত্রী শ্রী মতি দূর্গা লাল শীল অভিভাবক সুত্রে ওই ১২ শতক জমি ২৭ ডিসেম্বর ১৯৮৪ইং সালে উপজেলার মধ্যছাতনাই গ্রামের ফমিজ উদ্দিন সরকারের ছেলে আব্বাস আলী সরকারের নিকট ৬ শতক ও মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম সরকারের নিকট ৬ শতক জমি বিক্রয় করেন। ক্রয়সুত্রে ওই জমির মালিক হয়ে আব্বাস আলী সরকার ও মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম সরকার নিজ নামে নং ৪৩৮/৯০/৯১,তারিখ-১৩.০১.১৯৯১ইং নাম খারিজ করে নেন। এবং ১৯৮৪ সাল হতে ২০১৯ইং সাল পয্যন্ত রশিদ মুলে নিয়মিত জমির খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। এবং জমিটি ভোগ দখল করতে থাকেন। দির্ঘ ৩৫ বছর পর হটাৎ করে গভীর রাতে শ্রী নাদুরাম সিংহ রায়ের নাতী বাবলু সেন গং ১৩ জানুয়ারী ১৯৬৮ সালের রেজিষ্ট্রিকৃত একটি দলিল মূলে জমিটির দাবীদার হয়ে ওই জমি বেদখল করেন। তারা যে দলিল মূলে জমিটির দাবী করছেন সেই দলিলের নং-১৭০ দেখালেও ক্রমিক নং উল্লেখ নেই। এবং তৎকালীন ডোমার উপজেলার সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের বালাম বইয়ে ১৭০ নং দলিলের কোন অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে বাবলু সেন গংরা পেশি শক্তি খাটিয়ে ওই জমি বে দখল করে রেখেছে। অপর দিকে ক্রয়সুত্রে জমির প্রকৃত মালিক মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম সরকার ডিমলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি জমিটি দখল মুক্ত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।