যশোরের কেশবপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার নাম ভাঙ্গিয়ে শিকারপুর ভালুকঘর সড়কের বন বিভাগের ৩টি বাবলা গাছ এলাকার এক প্রভাবশালীর নেতৃত্বে কেটে নিয়ে আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, শিকারপুর ভালুকঘর সড়কের দু’পাশ দিয়ে বন বিভাগের উদ্যোগে এক যুগ আগে বাবলার চারা রোপণ করা হয়। বন বিভাগের উপকারভোগিরা গাছগুলি দেখভাল করতেন। গত ২৯ নভেম্বর শিকারপুর বাজারের ১’শ গজ দূর থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকা মূল্যের ৩ টি বাবলা গাছ স্থানীয় মেম্বার মনিরুজ্জামান মনির নেতৃত্বে কেটে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে মেম্বার মনিরুজ্জামান মনি গাছ কাটার কথা অস্বীকার করে বলেন, কর্মসৃজন কর্মসূচীর শ্রমিক দিয়ে ওই রাস্তায় কাজ করানোর কারণে গাছগুলি রাস্তার মধ্যে পড়ার সম্ভাবনা ছিল। সে কারণে গাছ ৩ টি শিকারপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের জমিতে থাকায় সে নিজেই কেটে সাড়ে ৩ হাজার টাকায় কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। সেখানে ওই এলাকার আরও লোকজন উপস্থিত ছিল বলে জানান তিনি।
ভালুকঘর ফাড়ির ইনচার্জ রবিউল ইসলাম বলেন, গাছ কাটার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এ সময় স্থানীয় মেম্বার মনিরুজ্জামান মনি জানায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা ও মজিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে গাছগুলি কাটা হয়েছে। একথা শুনে তিনি চলে যান। মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির পলাশ বলেন, ওই গাছ কাটার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অনুমতি দিতে পারেন না বলেও জানান।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, ওই সড়কের দু’পাশ দিয়ে বন বিভাগ বাবলা গাছ রোপণ করেছিল। গাছ কাটার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।