আমতলী উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১ টি ক্যাটাগরির উপজেলায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের তালিকা প্রকাশ করেছেন বাছাই কমিটি। বুধবার এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলায় ১৫৩ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এ বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষিকা, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষিকা, বিদ্যালয়, এসএমসি, বিদ্যোৎসাহী সমাজকর্মী, কাব শিক্ষক, কর্মচারী,সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও ঝড়ে পড়া কমানো শ্রেষ্ঠ স্কুলসহ ১১ টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছেন। উপজেলা বাছাই কমিটি বুধবার ১১ ক্যাটাগরির শ্রেষ্ঠ তালিকা প্রকাশ করেছেন। এতে শ্রেষ্ঠ হলেন প্রধান শিক্ষক মোঃ বশির উদ্দিন, প্রধান শিক্ষিকা কামরুন্নাহার, সহকারী শিক্ষক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষিকা ফজিলাতুন নেছা পাপড়ি, বিদ্যালয় চন্দ্রা চৌধুরীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, এসএমসি আবদুল ওহাব মিয়া, বিদ্যোৎসাহী সমাজকর্মী পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, কাব শিক্ষক মোঃ শাহ আলম মিঞা, কর্মচারী মোঃ আবুল হোসেন,সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মনিরুজ্জামান রিপন ও ঝড়ে পড়া কমানো স্কুল ৪৯ নং চাওড়া চালিতাবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাঃ আসমা দিল আফরোজ বলেন, প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে নিরলসভাবে কাজ করে আসছি। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রচেষ্টায় আমার বিদ্যালয় উপজেলায় শ্রেষ্ঠ হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক মোঃ বশির উদ্দিন বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার একটি ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য প্রতিযোগীতা বাড়বে। প্রতিযোগীতা বাড়লে লেখাপড়ার মান বৃদ্ধি পায়।
শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী সমাজকর্মী পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কাজের মূল্যায়ন করেছে সরকার। শিক্ষার মান উন্নয়নে আরো কাজ করে যাব।
আমতলী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন, ১১ টি ক্যাটাগরির শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী শিক্ষক,কর্মচারী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
বাছাই কমিটির সভাপতি ইউএনও মনিরা পারভীন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার গতিশীলতা বাড়াতে সরকার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, যাদের প্রতিভা আছে. তারাই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করছে।