চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের বড়শালিখা গ্রামে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে সংঘর্ষ ও মারপিটে পুলিশ ও নারীসহ অন্ততঃ ১৫জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১০জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে। আহতরা হলেন চাটমোহর থানার এএসআই ওয়াসিম (৩২),কনস্টেবল আলমগীর কবির (৩২),কনস্টেবল বাবু মিয়া (২৯),আঃ বাতেনের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৪৬),ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৬),হাবিবুর রহমানের মেয়ে কণা খাতুন (২৬),হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী সোহানী খাতুন (২১),মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে উম্মে সওদা মুর্শিদা (২০),মিকার প্রাং এর ছেলে রফিক (৪০) ও আবুল কাশেমের ছেলে হোসেন আলী (৩৫)। এ ঘটনায় পুলিশ ৩জনকে আটক করেছে। এরা হলেন সাদ্দাম হোসেন,মেহের আলী ও কণা খাতুন।
জানা গেছে,বড় শালিখা গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মদিনা খাতুনের সাথে জমি ক্রয় করা নিয়ে রেজাউল-কাইয়ুম আলীর বিরোধ দেখা দেয়। রেজাউল তার জমি মদিনার কাছে বিক্রি করেন। পরে কাইয়ুমের কাছেও বিক্রি করেন। এই জমি দখল নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। মদিনা খাতুন আদালতে মামলাও দায়ের করেন। আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাসহ কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু রেজাউল-কাইয়ুম গং তা অমান্য করে গত ১ ডিসেম্বর মদিনা খাতুনের বাড়ি-ঘর ভাঙ্চুর করে। এরই জের ধরে বুধবার বিকেলে রেজাউল-কাইয়ুম গং লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙাচুর করাসহ মারপিট করে। খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে গেলে তারা আক্রান্ত হন। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এসংবাদ লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। চাটমোহর থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দিন জানান,মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারাও আক্রান্ত হয়। এ ব্যাপারে একপক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছে। অপরপক্ষ অভিযাগ দিলে গ্রহণ করা হবে।