৭ ডিসেম্বর, গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস। যুদ্ধকালীন গাইবান্ধা স্টেডিয়াম মাঠ ও পাশের একটি বাড়িতে বাঙ্গালিদের ধরে এনে হত্যা করা হতো। ২৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা খবর পান পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী গাইবান্ধা ছেড়েছে। ঐদিন তারা এগিয়ে এসে রসুলপুরে অবস্থান নেন। কিন্তু পর দিন সকাল বেলা শত্রু বিমান ঐ এলাকা ও মোল্লার চরে বোমা বর্ষণ করে। আহত হন বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। ৬ ডিসেম্বর সকালে মিত্রবাহিনীর বিমান গাইবান্ধার রেলষ্টেশনের পাশে বোমা ফেলে এবং বিকেলে ট্যাংক নিয়ে মিত্রবাহিনী শহরে প্রবেশ করে। পরদিন ৭ ডিসেম্বর সকালে মাহবুব এলাহী রঞ্জু (বীর প্রতিক)র নেতৃত্বে দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা হাজার হাজার মানুষের আনন্দ-উৎসবের মধ্যে পুলবন্দি হয়ে গাইবান্ধা শহরে প্রবেশ করেন। মুক্তিযোদ্ধারা তৎকালীন এসডিও মাঠে(বর্তমান স্বাধীনতা প্রাঙ্গন) সমবেত হন, এখানে মাহবুব এলাহী রঞ্জু গাইবান্ধাকে হানাদার মুক্ত ঘোষনা করেন।
গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে নানা সুচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।