গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অন্তসত্তা অসহায় জোসনা বেগম বিচারের আশায় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। থানায় মামলা না নেয়ায় আদালতে মামলা দায়ের।
মামলা সূত্রে প্রকাশ, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাই গ্রামের আমজাদ হোসেনে কন্যা জোসনা বেগম অভাবের কারণে একই ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর মাষ্টার পাড়া গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের পুত্র আসাদুজ্জাম ( আসাদ) এর (ওয়ার্কসপ) লেদ মেশিনের দোকানে কাজ নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে দরজা, জানালা, কব্জা ও আলতারাজসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরীর কার করত। জোসনার রুপ যৌবনে মুগ্ধ হয়ে এর মধ্যে লম্পট আসাদুজ্জামান (আসাদ) এর কু-দৃষ্টি পরলে তাকে বিবাহের প্রস্তান দেয়। আসাদের স্ত্রী, সন্তান থাকায় জোসনা তার প্রস্তাবকে প্রত্যখান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসাদ তার মনের ইচ্ছ পুরনের জন্য স্ত্রী, সন্তানদেরকে শশুর বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়ে সু-কৌশলে গত ৫ অক্টোম্বর সকাল অনুমান ১০ টার দিকে জোসনাকে তার বাড়ীতে ডেকে নেয়। বাড়ীতে যাওয়ার পর জোসনাকে আসাদ একটি রুমের মধ্যে তিন দিন যাবৎ আটক রেখে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। পরে আবার বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বাড়ীতে ভূয়া কাজী ডেকে এনে ভূয়া রেজিষ্ট্রি দেখাইয়া দীর্ঘ দিন অবৈধ মেলা মেশায় লিপ্ত হয়। তাদের মেলা মেশায় গর্ভে ৪ মাসের সন্তান আসিলে একটি ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে তাহা নষ্ট করে নেয় আসাদ। এর পরও প্রতারনা মূলক তাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে দৌহিক মেলা মেশা অব্যাহত থাকায় পূনরায় জোসনা বেগম ৩ মাসের অন্তসত্তা হয়। জোসনা বেগমের কোন খোঁজ খবর না নিয়ে পূনরায় গর্ভের সন্তানটি নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করাসহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করছে আসাদ।
এ বিষয়ে বিচারের জন্য গোবিন্দগঞ্জ থানায় গেলে পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়ায় আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে জোসনা বেগম।