বাংলাদেশে চায়ের প্রচলন হয় আজ থেকে ১৬৫ বছর আগে। ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনীছড়া চা-বাগান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে চা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে চা’এ এসেছে বৈচিত্র্য। উৎপাদিত হচ্ছে অনেক প্রকারের চা। যার মূল্য ১ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। দেশের ৫টি স্থানে এসব মূলবান এবং বৈচিত্র্যময় চা’এর প্রদর্শন ও বিক্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
চা এখন আমাদের দেশে একটি জনপ্রিয় পানীয়। আমাদের নিত্যপানীয় অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। রোজ সকালে এক কাপ চা-তে চুমুক না দিলে দিনটাই যেন ভাল কাটে না। অতিথি আপ্যায়নেও শহর কিংবা গ্রামে এখন চা’এর জুড়ি নেই। বাংলাদেশের চা’এর রয়েছে একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি। খুব সহজে অতিথি আপ্যায়ন করতে চা’এর জুড়ি মেলা ভার। কারণ চা’এর নিজস্ব স্বাদ, বৈচিত্র্য, ব্র্যান্ডিং এবং গুনগতমানে আমাদের দেশের চা আজ অনেক এগিয়ে গেছে। সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশের সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে।
শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক বলেন, চা পান আরোও উপভোগ্য, সুন্দরভাবে উপস্থাপন ও চা পানকে আরোও উৎসাহিত করার জন্য চা বোর্ড সুলভ মূল্যে ও আর্কষনীয় ডিজাইনের ইনফিউজার, টি-পট, টি-কাপ এবং ডাবল লেয়ার মগ বাজারজাত করছে। এসব টি-পট ও টি-কাপ চা বোর্ডের চা প্রদর্শন ও বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, এসব কাপ, পট ও মগ ব্যবহারে পারিবারিক, অতিথি আপ্যায়ন ও আচার অনুষ্ঠানে চা পান তৈরি করবে সুন্দর ও অভিজাত পরিবেশ।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের চা প্রদর্শন ও বিক্রয় কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- শ্রীমঙ্গলের টি রিসোর্ট এ- মিউজিয়াম, শ্রীমঙ্গলের চা গবেষনা ইনস্টিটিউট সংলগ্ন চা প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র, চট্টগ্রামে অবস্থিত চা বোর্ডের চা প্রদর্শন ও বিক্রয় কেন্দ্র, ঢাকার হোটেল রেডিসন এবং ঢাকার হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে অবস্থিত ‘বাংলাদেশ চা’ ষ্টল।