সারাদেশে যখন নারীরা বিভিন্ন নির্যাতনের শিকারে পরিনত হচ্ছেন। সেখানে আজ নারীরা বিভিন্ন দপ্তরে ও সমাজ সচেতন হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার সকাল ১১ টায় বাজিতপুর উপজেলা হল মিলনায়তনে আন্তার্যাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবসকে ঘিরে মহিলা বিষয়ক মন্ত্রনালয় সফল জয়ীতাদের পুরস্কারে ভূষিত করছেন। এর থেকে বাজিতপুর পিছিয়ে নেই। উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক কার্যালয় থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৫ জন জয়ীতাকে সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিপ্তীময়ী জামান। ৫ জয়ীতারা হলেন। সফল জননী ফরিদা খানম; তার সংসারে ৭ ছেলে-মেয়ে। এর মধ্যে ৩ জন ছেলে বিসিএস ক্যাডার অফিসার, শিক্ষক ও অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত আছেন। অজপাড়া গায়ে থেকে অর্থ কষ্ঠের মধ্য দিয়ে স্বামীর সংসারে থেকে তিনি তার ছেলে-মেয়েদেরকে মানুষ করেছেন। অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য পপি আক্তার; ছোট বেলায় তার বিয়ে হয়। স্বামীর সংসারে প্রথম দিকে খুব অর্থ কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করতে হয়েছে। নিজেকে সমাজে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন কাপড়ে কারিকুলাম করে দিন ভালই যাচ্ছিল। তিনি বর্তমানে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার কর্মী নিয়ে কাপড়ের মধ্যে বিভিন্ন সাজ সজ¦া দিয়ে এসব শ্রমিকদের যেমন সাবলম্বী করে তুলছেন, তেমনি তিনি নিজেও আজ সমাজে দাড়িয়ে পড়েছেন। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সুরমা আক্তার; নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার মা-বাবা বিয়ে দেয়। শশুর বাড়ির লোকজনের বিভিন্ন অত্যাচারের মধ্য দিয়েও তিনি থেমে যাননি। তার সন্তানের সাথে লেখা পড়া করে ২০১৫ সালে ডিগ্রী পাস করেন। একই বছরের বাজিতপুর পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের (৪,৫,৬) ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নারী নির্যাতন বিভিষিকায় দমে যাননি রুনা আক্তার; দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার বিয়ে হয়। স্বামীর সংসার খুব অর্থ কষ্টের মধ্যে কাটে তার জীবন। বর্তমানে তার ছেলে-মেয়েদেরকে লেখা পড়া করার জন্য তিনি প্রাইভেট ও হাস-মুরগী পালন করে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেছেন। সমাজ উন্নয়নে সাফল্য সালমা বেগম; চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় সালমা বেগমের বিয়ে হয়। স্বামীর সংসারে তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। অনেক অর্থ কষ্টে তার জীবন কাটে। বর্তমানে তিনি তার ছেলে-মেয়েদেরকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। তিনি নিজেও এলাকার বাল্য বিবাহ বহু বিহাহ হলে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেহানা আক্তার, উপজেলা কৃষি অফিসার এ.বি.এম রকিবুল হাসান ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যা গুলনাহার।