দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌরসভা এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের আদিবাসী মৃত সুপল হাসদার ছেলে জোসেফ হাসদার অভিযোগে জানা যায়, স্থানীয় ভূমিদস্যু মমতাজ আলী ওরফে টাইগারের সাথে জগদল গ্রামের বিভিন্ন দাগে ২.৭০ একর জমি নিয়ে জোসেফ হাসদার বিরোধ চলে আসছে। ইতিপূর্বে জোসেফের পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের পায়তারা, চারা আমগাছ কর্তন, স্যালো মেশিন ভাংচুর সহ একাধিক মামলা দিনাজপুর বিজ্ঞ আদালতে চলমাল ও উল্লেখিত জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারী রয়েছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার গভীর রাতে আনুমানিক ৩ঘটিকায় মমতাজ আলী টাইগারের নির্দেশে তার ছেলে মিঠুন একই এলাকার রফিকুল, সাবেদ আলী, সাফিউল, কোকিল সহ অজ্ঞাত ৮/১০জনের সংঘবদ্ধ দল আদিবাসী পরিবারটির দুটি শয়ন ঘরে অগ্নি সংযোগ করেন। এসময় ঘরে ঘুমিয়ে থাকা ফুপা বিষ্টু মার্ডির চিৎকারে টের পেয়ে জোসেফ বংলাল সহ কয়েকজনে অগ্নিসংযোগকারীদের বাধা ও তাড়া করলে ঘরের প্রায় ৯ বান টিনের বেড়া ও আসবাবপত্র লুট করে পালিয়ে যায় দুস্কৃতিকারীরা। একই রাতে দুস্কৃতিকারীদের খোজাখুজি করা হলে লুটকৃত টিনের কয়েকটি বেড়া অভিযুক্ত রফিকুলের বাড়ির আঙ্গিনায় পাওয়া যায় এবং পৌরসভার অত্র ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাজউদ্দিনকে ঘটনার বিষয়ে অবগত করে তার উপস্থিতিতে প্রতিবেশী আমিনুল ইসলামের জিম্মিতে উদ্ধারকৃত টিনের বেড়া রাখা হয়। বর্তমানে ভূমিদস্যু মমতাজ আলী টাইগারের হুমকিধামকি ও বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগের মুখে আদিবাসী জোসেফ পরিবারটি চরম নিরাপত্তায় ভুগছে। এব্যাপারে জোসেফ হাসদা একই দিনে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরে সুষ্ঠ বিচারের জন্য অভিযোগ করেন। সোমবার সকালে উল্লেখিত ঘটনায় জোসেফ হাসদা বাদি হয়ে ১নং আসামী মমতাজ আলী টাইগার, ২নং মিঠু, ৩নং রফিকুল ইসলাম, ৪নং সাবেদ আলী, ৫নং সাফিউল ইসলাম, ৬নং কোকিল কে আসামী করে বীরগঞ্জ থানায় ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩০৭/৪৩৬/৪২৭/৩৭১/৫০৬/১১৪/৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।