আইপিএল, পিএসএল কিংবা বিগ ব্যাশের পরিধি যখন ক্রমশ বাড়ছে, তখন নিজেদের আরও গুটিয়ে নিচ্ছে বিপিএল কর্তারা। গেল দুই আসরে ছিলোনা বরিশালের নামের দল। ঠিক এবারের বঙ্গবন্ধু বিপিএলেও নেই বরিশালের কোনো দল। ফলে দক্ষিণবঙ্গের বিশাল এক জনগোষ্ঠীর সমর্থন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ।
এ নিয়ে সমর্থক আর বরিশাল বিভাগ থেকে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করা ক্রিকেটারদের কণ্ঠে উঠে এসেছে চরম হতাশা। এজন্য বরিশালের বোর্ড পরিচালক আলমগীর হোসেন আলো দায়টা চাঁপালেন বিসিবি’র কাঁধে। দক্ষিণাঞ্চলের ক্রিকেট ভক্তদের মতে, এটাই তো বরিশাল, প্রাচ্যের ভেনিস। রূপসী বাংলার জীবনানন্দ কিংবা চারণ কবি মুকুন্দ। মহাত্মা গান্ধীর ভাষায় বললে, ‘যখন সমগ্র ভারত গভীর নিদ্রায় নিমগ্ন, তখনও বরিশাল ছিল সদা জাগ্রত’। ক্রীড়া ক্ষেত্রেও শত নদ-নদী বিধৌত এই উর্বর ভূমি জন্ম দিয়েছে হাজারো কীর্তিমানের। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছিলেন বরিশালের সূর্যসন্তানরা। বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর কিংবা মোস্তফা কামাল এই বৃহত্তর বরিশালেরই সন্তান। অথচ এবারের বঙ্গবন্ধুর নামে হতে যাওয়া বিশেষ বিপিএলে নেই বরিশালের কোন দল।
সূত্রমতে, কখনও বরিশাল বার্নার্স কিংবা কখনও বরিশাল বুলস। আগের ছয় আসরের প্রথম চারবার অংশগ্রহণ করে দুইবারই ফাইনাল খেলেছিল দলটি। তবে দেনা পাওনা নিয়ে বরিশাল বুলসের স্বত্ত্বাধিকারীর সাথে বিরোধ বাঁধে বিসিবির। তবে এবারের প্রেক্ষাপটটা ছিল একেবারেই ভিন্ন। কারণ এবার আর কারো মালিকানায় নয় বরং বিপিএল আয়োজিত হচ্ছে বিসিবির নিজস্ব তত্ত্বাবধানে। তাই যদি হয় তবে কেন রাখা হলো না বরিশালের কোনো দল?
এ প্রশ্নের জবাবে বরিশাল থেকে নির্বাচিত বিসিবি’র পরিচালক আলমগীর হোসেন আলো বলেন-বরিশাল বিভাগীয় টিম করার জন্য আমি বোর্ডের সবার কাছে আবেদন রেখেছি। তখন আমাকে চিঠিতে জানানো হয়েছে, আগের পরিচালকের কাছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ৬০ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এজন্য আমাদের টিম তারা ঝুলিয়ে রেখেছে।
বরিশাল থেকে লাল সবুজের জার্সি মাতানো ক্রিকেটারদের আক্ষেপটা যেন আরও বেশি। সমর্থকদের মতো তাদেরও প্রশ্ন, কেন সবকিছুতেই শুধু মুনাফা খোঁজে বিসিবি। ক্রিকেটার সোহাগ গাজী বলেন, বরিশালের যারা খেলোয়াড় আছি এবং দর্শকরাও চায় বরিশালের একটা দল থাকুক।