যৌতুকের দাবিতে জেলার আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী উপজেলার দুই গৃহবধূকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। গুরুত্বর অবস্থায় ওই দুই গৃহবধূকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পৃথক দুটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার সকালে আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উজিরপুরের কুড়ালিয়া গ্রামের হরলাল ঢালীর কন্যা গৃহবধূ পপি ঢালী (২০) সাংবাদিকদের জানান, অশোকসেন গ্রামের হরি মোহন মজুমদারের পুত্র ব্যবসায়ী মনোতোষ মজুমদারের সাথে গত দেড় বছর পূর্বে সামাজিকভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য তার (পপি) পরিবারের কাছে সাত লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছে। এ টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে (পপি) প্রায়ই নির্যাতন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে যৌতুকের টাকার জন্য মনোতোষ ও তার পরিবারের সদস্যরা পপিকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। এ সময় পপির চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আহত গৃহবধু পপি ঢালী বাদি ওইদিন বিকেলে স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে আগৈলঝাড়ায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
একইদিন গৌরনদী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উপজেলার উত্তর পালরদী গ্রামের মৃত আলমগীর খলিফার কন্যা দুই সন্তানের জননী সাথী আক্তার (২৮) জানান, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আতসখালী গ্রামের হান্নান প্যাদা সাথে তার বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর স্বামীর দাবিকৃত যৌতুকের পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ করার পরেও পূর্ণরায় পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই তাকে শারিরিক নির্যাতন করা হয়। সর্বশেষ গত ২ ডিসেম্বর বিকেলে তার (সাথী) মাদকাসক্ত স্বামী হান্নান প্যাদার অমানুষিক নির্যাতনে সাথী আক্তার গুরুত্বর আহত হন। পরে প্রতিবেশীরা তাকে (সাথী) উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে সাথীর মা রানু বেগম ও ভাই জাকির সরদার বাউফল হাসপাতাল থেকে সাথীকে এনে গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।