ফেনীর দাগনভুঞা উত্তর আলীপুরে গৃহবধু মিতু রানীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় গৃহবধু মিতুকে আহত অবস্থায় ফেনীর কনসেপ্ট হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করে। নিহত মিতুকে হাসপাতাল থেকে শুশুর বাড়ীর লোকজন দাগনভুঞার গ্রামের বাড়ী নিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাঁস পাতালে প্রেরন করেন।
নিহত মিতুর ভাই মিশু চন্দ্রদাস জানান, বেশকিছুদিন ধরে স্বামী ডালিম বিদেশ থাকার সুবাধা দেবর শ্যামল চন্দ্র দাস নিয়মিত যৌন হয়রানি করে আসছিলো। তার ডাকে সাড়া না দেয়ার কারণে এই হত্যা কান্ত হয়েছে বলে ধারনা করছে মিতুর পরিবার। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন আমরা তার স্বামী ডালিমকে অবহিত করি কিন্তু ডালিম এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। মিতু নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার বিরাহীমপুর গ্রামের রনজিত চন্দ্রদাসেরর মেয়ে। গত ১০মাস পূর্বে ফেনীর দাগনভুঞা উপজেলার উত্তর আলীপুর গ্রামের কিশোর কুমার দাসের পুত্র ডালিম কুমারের সাথে বিয়ে হয়।
মিতুর হত্যা ঘটনায় মা রীনা দাস দাগনভুঞা থানায় মিতুর দেবর শ্যামল চন্দ্র দাসকে প্রধান আসামি করে তিন জনের নামে একটি অভিযোগ দেন।
এদিকে দাগনভুঞা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ আসলাম উদ্দিন জানান, অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে। আমরা প্রথমিক খবর পেশে লাশ উদ্ধার ময়না তদন্তের জন্যে ফেনী জেনারে হাসপালে পাঠিয়েছি।