বগুড়ার নন্দীগ্রামে গৃহবধুকে উত্যক্ত করতে গিয়ে অবশেষে শাকিল হোসেন নামের এক লম্পট বিবস্ত্র হয়ে পালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৩ নং ভাটরা ইউনিয়নের ভাগবজর গ্রামে মঙ্গলবার রাতে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, বেলঘড়িয়া গ্রামের গ্রামের শাকি আহম্মেদ ও তার স্ত্রী হাজেরা খাতুনের ঘরে দেড় বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
এদিকে ভাগবজর গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে শাকিল হোসেনের কুদৃষ্টি পড়ে হাজেরা খাতুনের দিকে। তাই সে মাঝেমধ্যেই হাজেরা খাতুনকে কুপ্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতে থাকে। এমতাবস্থায় গত মঙ্গলবার গভীর রাতে শাকিল হোসেন ও তার বন্ধু ফরিদ উদ্দিন ওই গৃহবধুর বাড়িতে গিয়ে উত্যাক্ত করতে থাকে। এর এক পর্যায়ে ওই গৃহবধু হাজেরা ও তার স্বামী শাকি লম্পট শাকিল হোসেনকে ধরে ফেলে এবং তাকে আটকের চেষ্টা করে । এর এক পর্যায়ে তারা লম্পট শাকিল হোসেনের পড়নের লুঙ্গি ও গায়ের জামা খুলে নেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে শাকিল আহম্মেদ বিবস্ত্র হয়েই রাতের আধাঁরে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে।
গৃববধু হাজেরা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, লম্পট শাকিল আহম্মেদ মাঝেমধ্যেই আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। মঙ্গলবার রাত ১২টায় আমাকে উত্যক্ত করতে বাড়িতে এসেছিল। এ বিষয়ে থানার এসআই আব্দুর রহিমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বিবাদীরা গা ঢাকা দিয়েছে।