জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিমিটেড (জেএফসিএল) এর ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু হয়েছে। দেশের সর্ববৃহৎ দানাদার ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি টানা ১ বৎসর ১৩ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে গত ১১ ডিসেম্বর বুধবার সকাল থেকে ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু হয়। জেএফসিএল সূত্র জানাযায়, গত ২৭ নভেম্বর/১৮ইং তারিখ ভোর ৬টায় কারখানার অ্যামোনিয়া স্টার্টার হিটার যন্ত্রটি বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় মুহুর্তের মধ্যে অ্যামোনিয়া গ্যাস প্রক্রিয়াজাত করণের যন্ত্র পিহিটারসহ আশেপাশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মুল্যবান যন্ত্রাংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেই সময় থেকে অর্থাৎ ( ১বছর ১৩দিন) কারখানাটি সার উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
কারখানা সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে যমুনা সার কারখানাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলাসহ টাঙ্গাইল,জামালপুর ও শেরপুর জেলার সারের চাহিদা পূরণ করে আসছে। বিসিআইসি নিয়ন্ত্রাধীন এই প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে দৈনিক ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করে আসছিল। কিন্তু বর্তমানে গ্যাস স্বল্পতার কারণে তা কমে এসেছে। কারখানায় স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য ৩২০ পিএসআই গ্যাসের চাপ প্রয়োজন হয়। সেখানে গ্যাসের চাপ মাত্র ১৮০ পিএসআই সরবরাহ রয়েছে কারখানা সংশ্লিষ্টদের। সুত্রমতে কারখানা উৎপাদন চালু হলেও গ্যাস স্বল্পতায় কারণে আবারও কারখানাটি বন্ধ হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি(গ্যাস এজেন্সি)কে কারাখানায় প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।
এ ব্যপারে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খান জাভেদ আনোয়ার জানান, যমুনা সার কারখানার যন্ত্রাংশ মেরামত শেষে গত ৭ ডিসেম্বর অ্যামোনিয়া উৎপাদন শুরু হয় এবং ১১ ডিসেম্বর সকালে থেকে ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।