যশোরের মণিরামপুরে এক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ছবি জালিয়াতি করে কওমী মাদ্রসা পড়–য়া মেয়ের বদলে প্রতিষ্ঠানের আরেক ছাত্রীকে দিয়ে জেডিসি পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগে বিগত ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায়ও একইভাবে পরীক্ষা দেয়া হযেছিলো বলে অভিযোগ। উপজেলার শাহ-আলী মাদ্রাসা সুপার আব্দুস সালামের এহেন কর্মকান্ডে অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির এক অভিভাবক সদস্য তদন্ত পূর্বক সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সরেজমিনে ওই মাদ্রাসায় গেলে দেখা যায়, ২০১৮ সালে শরিফা সাফল্যের সাথে জেডিসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শরিফা খাতুন নবম দাখিল শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ইতিহাস পরীক্ষা দিচ্ছে। অথচ শরীফা অত্র মাদ্রাসা থেকে সুপারের মেয়ে আসমা সাদিয়ার বদলে সদ্য সমাপ্ত জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবগুলো পরীক্ষাই সাফল্যের সাথে শেষ করেছে। সুপার আব্দুস সালামের কওমী পড়–য়া মেয়ে আসমা সাদিয়ার প্রবেশপত্রের ছবি উঠিয়ে জালিয়াতি করে শরীফার ছবি লাগিয়ে জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা শেষে বের হলে সদ্য সমাপ্ত জেডেসি পরীক্ষা অংশ নেয়া প্রসঙ্গে কথা হলে শরীফা সব কিছু অকপটে বলে ফেলে।
শরীফা জানায়, সুপার হুজুর তাকে বলে এবারো সে জেডিসি পরীক্ষা দিলে মাদ্রাসার ভালো হবে। হুজুরের কথা মতো প্রবেশপত্র হাতে নিয়ে শরীফা জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সব পরীক্ষা ভালোভাবে শেষ করেছে। শুধু তাই না। সুপারের মেয়ের জন্য একই কায়দায় ছবি জালিয়াতি করে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইবতেদায়ী সমপানী পরীক্ষায়ও শরীফাকে দিয়ে দেয়ানো হয়েছিলো। ওই পরীক্ষায় এ প্লাসসহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেলেও সুবিধা ভোগ করছে আসমা সাদিয়া। অথচ ক্লাস করা তো দুরের কথা কখনো মাদ্রসায় আসেনি সুপারের মেয়ে আসমা সাদিয়া। সে ( আসমা সাদিয়া) একটি কওমী মাদ্রাসায় পড়ছে।
মাদ্রাসা সভাপতি ফারুক হুসাইন বলেন, এ বিষয়ে এক অভিভাবক সদস্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। তবে, ঘটনা সত্য হলে নিয়মমাফিক সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, অবশ্যই বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।