যশোরের কেশবপুরে সন্ন্যাসগাছা বেদে পল্লীর ১২ বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে একটি পরিত্যাক্ত সিনেমা হলে আটকিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই শিশুর পিতা আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বাদি হয়ে ৫ জনের নামে থানায় মামলা করেছেন যার নং- ৭। পুলিশ রাতেই মামলার এজাহার নামীয় আসামি আবদুল জলিলকে (৪৫) আটক করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ দিন আগে ঝিনাইদহ জেলার বারোবাজার এলাকার ১৫ থেকে ১৬ পরিবারের একদল বেদে সম্প্রদায় কেশবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী সন্ন্যাসগাছা ব্রিজের পাশে টঙঘর বেঁধে বসবাস করছিল। ওই বেদে পল্লীর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সন্ন্যাসগাছা গ্রামের শহর আলী গাজীর ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (১৭) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরই সূত্র ধরে গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তৌহিদুল ইসলাম প্রতিবেশী আবদুল জলিলসহ ৪ থেকে ৫ জন যুবকের সহযোগিতায় ওই শিশুকে অপহরণ করে চুকনগর বাজারের একটি পরিত্যাক্ত সিনেমা হলে নিয়ে আটকিয়ে রাখে। রাতে তৌহিদুল ইসলাম ও আবদুল জলিল ওই মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা চালালে তার আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে রাত ১০টার দিকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দেয়। ওই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও স্থানীয় কতিপয় জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপে ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ার উপক্রম হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান বলেন, ১১ ডিসেম্বর রাতে বেদে পল্লীর এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে তার কাছে একটি মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিল। তখন আমি তাদের থানায় অভিযোগ করতে বলেছিলাম। এর বাইরে আমি কিছুই জানি না।
এ ব্যাপারে থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে আমি ওই মেয়েসহ তার পরিবারকে থানায় ডেকে এনে অভিযোগ শুনি। এ ঘটনায় অপহরনের পর ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা নেয়া হয়েছে। আসামি আবদুল জলিলকে আটক করা হয়েছে। বাকী পলাতক আসামীদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।