রাজবাড়ী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সকল ধরনের অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষনা দিয়েছেন রাজবাড়ীর ৫ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ। রবিবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষনা দেন তারা।
তবে আগামীকালকের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং আগামীতে তাদের দাবী মানা না হলে প্রশাসনের কোন অনুষ্ঠানে তারা অংশ গ্রহন করবেন না বলে ঘোষনা দিয়েছেন। আগামীতে নিজ নিজ দ্বায়িত্বে তারা আলাদা ভাবে ওই সব অনুষ্ঠান পালন করবেন।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের নিচ তলায় রাজবাড়ী কন্ঠ পত্রিকা অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে উপজেলা চেয়ারম্যানরা এ কথা বলেন।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ৫ উপজেলা চেয়ারম্যান সভাপতি এ্যাডঃ ইমদাদুল হক বিশ্বাস।
এ সময় বালিয়াকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, পাংশার ফরিদ হাসান ওদুদ, কালুখালীর আলিউজ্জামান টিটো চৌধুরী ও গোয়ালন্দের উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আসাদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে চেয়ারম্যানরা উল্লেখ করেন, উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত হওয়ার কথা জনগনের প্রতিনিধি উপজেলা চেয়ারম্যানদের দ্বারা অথচ উপজেলার সকল কাজ পরিচালিত করা হচ্ছে উপজেলা প্রশাসনের আমলাদের দ্বারা। এ অনিয়ম থেকে তাদের বেড়িয়ে আসতে হবে। না হলে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কোন কাজে চেয়ারম্যানরা যাবেন না বলে জানান।
আগামীকালে ১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের উপজেলা প্রশাসনের ছাপানো চিঠিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণের নাম দেওয়া হয়নি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা আজ পর্যন্ত এ বিষয়ে চেয়ারম্যানদের সাথে কোন আলোচনা করেননি। এখানে উপজেলা প্রশাসন নিজেদের মত করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে সকল কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন। বিজয় দিবসে উপজেলা চেয়ারম্যানরা রাষ্ট্রীয় সালাম গ্রহন করবে, যা কেবিনেটে সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমন্ত্রণ পত্রে চেয়ারম্যানদের নামই দেওয়া হয়নি। ১৭টি হস্তান্তরিত বিভাগের ফাইল উপজেলা চেয়ারম্যানদের চুরান্ত অনুমোদন দেওয়ার কথা থাকলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসরাদের পর্যন্ত এসে ফাইল ফেরৎ চলে যায়। এ বিষয়েও কোন অনুমোদন নেওয়া প্রয়োজন মনেই করেন না উপজেলা প্রশাসন।
আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা, উন্নয়ন সমন্বয় সভাসহ বিভিন্ন সভায় তাদের যথাযথ মুল্যায়ন করা হয় না এবং সেখানে থাকে না কোন বসার ব্যবস্থা। নিজেদের মত করে তারা পরিচালনা করেন। এসব বিষয়ের কোন সঠিক সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সকল ধরনের অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষনা দেন তারা। তবে আগামীকালকের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শুধু মাত্র বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অনুষ্ঠানে যাবেন। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের অধিনস্থ জমি মিউটেশনে অনিয়ম ও দূর্নীনিতর অভিযোগ করেন। এতে করে সাধারন জনগণ হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। মিউটেশন ও জমি জমা বিষয়ে এসিল্যান্ডদের অপারগতার কথাও বলেন বক্তারা।
উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে ইটের ভাটা, চালের ডিলার, উপজেলা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, হাট বাজার সহ নানান স্থান থেকে অনুষ্ঠানের নামে চাঁদা নেন, কোন অনুষ্ঠান করতে কেন চাঁদাবাজি করতে হবে এসব বিষয়ে তারা কথা বলেন।