নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পল্লীতে ৮ম শ্রেনীর জনৈক ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়াগেছে।
বিবরণে প্রকাশ উপজেলার কাঁকৈরগড়া ইউনিয়নের বসনকোনা গ্রামের মোঃ উসমান গনির কন্যা স্থানীয় এন.ভাউরতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী প্রিয়া আক্তার গত ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার জানজাইল তার নানার বাড়ীতে বেড়াতে যায়। ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে নিজবাড়ী বসনকোনা গ্রামে ফেরার পথে ভাউরতলা এলাকায় তাকে একা পেয়ে ঐ গ্রামের বাসিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান এবং এন.ভাউরতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর নূর মোহাম্মদ এর পুত্র মীর আবুল কাইয়ুম জোরপূর্বক তাকে তার বাড়ীতে নিয়ে আসে এবং মীর মোকতাদির এর বসতঘরে আটকিয়ে বিয়ের মিথ্যা প্রলোবনে শুক্রবার দিবা রাত্রি তাকে একাদিকবার ধর্ষণ করে। শনিবার ভোর থেকেই কাইয়ুম বাড়ীথেকে পালিয়ে যায়। তখন থেকেই ঐ ধর্ষিতা বিয়ের দাবীতে দিনভর ঐ বাড়ীতেই অবস্থান নেয়, এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি মিট মিমাংসার জন্য একটি চক্র চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। শনিবার রাতে খবরপেয়ে ওসি মীর মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ধর্ষিতাকে থানায় নিয়ে আসে এবং রোববার সকালে ধর্ষক মীর কাইয়ুম’কে প্রধান আসামী করে অপর দুইজনের নাম ঠিকানা উল্লেখ পূর্বক ধর্ষিতার বাবা মোঃ উসমান গণি বাদী হয়ে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেণ। মামলার আইও ওসি মীর মাহবুবুর রহমান প্রতিনিধিকে বলেন ধর্ষিতার বাবা’র অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে পাশাপাশি সহায়তাকারী কাইয়ুমের চাচাতো ভাই ২নং আসামী মোকতাদির’কে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।