সূর্যোদয়ের সাথে সাথে একুশ বার তোপধ্বনির পর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও দিনভর নানান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বরিশালে উদ্যাপিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস। সোমবার সকালে নগরীর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন করে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। পরবর্তীতে বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান, জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ সহ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সিপিবি, বাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় রাজাকারদের বিচার ও তৃণমূল পর্যায়ের রাজাকারদের তালিকা প্রকাশের দাবি করেন নেতৃবৃন্দরা। এখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নগরীর ৩০ গোডাউন সংলগ্ন বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভে ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
সকাল নয়টায় বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। সেখানে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক শারিরিক কসরত প্রদর্শণ করে। এছাড়াও দিনভর আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এর আগে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বরিশালের সব সরকারী-বেসরকারী, আধা সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত, ব্যক্তি মালিকানাধীন গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বিজয় দিবস উপলক্ষে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও মুক্তিযুদ্ধের তথ্য ও দলিলপত্র প্রদর্শন করেন। এদিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী ভবনগুলোতে আলোকসজ্জার মাধ্যমে আলোকিত করা হয়েছে।