মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোনারগাঁয়ে শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে মাইকে দেরিতে নাম ঘোষনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলেও হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। পরে বিষয়টি পুলিশ ও সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
জানাযায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার সকালে উপজেলার শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজের আয়োজন করে সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন। এ সময় বিজয় মঞ্চে দাঁড়িয়ে সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ-৩) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারমান মোঃ মোশারফ হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রকিবুর রহমান খাঁন ও সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহন করছিলেন।
এসময় সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে। এ সময় মাইকে তাদের আগমনের বিষয়টি ঘোষনার জন্য সোনারগাঁ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ইয়াছিনুল হাবিবকে অনুরোধ করা হলে তিনি তাদের নাম বলতে গড়িমসি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম সঞ্চালকের কাছে তাদের নাম ঘোষনা না করার কারণ জানতে চান।
ওই সময় স্ট্যাজে বসে থাকা জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল ইসলাম বাদল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কথার প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাগবিতন্ডা শুরু হয়। এর জের ধরে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার শুরু হয়। এ সময় ঘটনায় মাঠে আসা শিক্ষার্থীদের দৌড়া দৌড়ি করে মাঠের পাশে আশ্রয় নিতে দেখা যায়। পরে সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ-৩) আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা ও সোনারগাঁ থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাদিক নেতাকর্মী জানান, সঞ্চালক তার মন গড়া মতো দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা করেননি। থানা আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার আত্মীয়পরিচয় দেয়া এই সঞ্চালক ইয়াসিন হাবিব অনেক বিশিষ্ঠ ব্যাক্তির নামই এড়িয়ে গেছেন। এ অপ্রতিকর ঘটনার জন্য সঞ্চালকই দায়ী।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ও উপজেলা যুব উন্নয়র কর্মকর্তা ইয়াছিনুল হাবিব বলেন, আমি অনুষ্ঠানে কুচকাওয়াজে স্কুল শিক্ষার্থীদের নাম ঘোষনায় ব্যস্ত থাকায় তাদের নাম ঘোষনা করতে দেরি হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, নেতাকর্মীদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রকিবুর রহমান খাঁন বলেন, ভুল বোঝাবুঝিতে এ অপ্রতীকর ঘটনা ঘটেছে। এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে।