মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়ের পুর্ব ঘোষনা অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছে রাজাকারের তালিকা। এই তালিকায় পশ্চিম বগুড়ার বৃহত্তর আদমদীঘি থানা এলাকার মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সহ একডজনের বেশী শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম ছাপা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হবার পর সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও কর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবী এটা ওই মন্ত্রনালয়ে কর্মরত ছদ্মবেশী স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র ও অপকর্ম। বিভ্রান্তিকর তালিকা তৈরীর সাথে জড়িতদের বিচার দাবী করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয় কর্তৃক প্রকাশিত রাজাকারের নামের তালিকায় স্থান পেয়েছে বৃহত্তর আদমদীঘি (আদমদীঘি ও আক্কেলপুর একত্রে থাকাকালিন) থানার এলাকার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এবং জয়পুরহাট মহকুমার সাবেক গর্ভনর কছিম উদ্ধীন আহম্মেদ, সাবেক এম এন এ মজিবর রহমান আক্কেলপুরি, অত্র এলাকার শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতা মৃত ফরেজ উদ্দীন মাস্টার, মৃত মজিবর রহমান মাস্টার, মৃত তাহের উদ্দীন মাস্টার, মৃত ডা. মহসিন আলী মল্লিক, মৃত হবিবর রহমান, মৃত নজিবর রহমান সরদার, মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম, সান্তাহার কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি আবদুস শুকুরসহ আরো অনেকের নাম। এদিকে, বৃহত্তর আদমদীঘি ও দুপচাচিয়া এলাকার রাজাকার মৃত আবদুল মজিদ তালুকদার, তার ছেলে আবদুল মতিন তালুকদার, আবদুল মান্নান তালুকদার এবং যুদ্ধপরাধ ও মানবতাবিরোধী মামলার পলাতক আসামি আবদুল মমিন তালুকদার খোকা, তৎকালিন মালেক মন্ত্রীসভার মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মসিউল ইসলাম এর নাম একই তালিকায় থাকলেও আরো অনেক রাজাকারের নাম নেই এই তালিকায়। রাজাকার তালিকায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা এবং সেই সময় পরবর্তী শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম দেখে হতবাক হয়েছেন সাধারন মানুষ। স্বাধীনতা স্বপক্ষের সর্বস্তরের মানুষ এই বিভ্রান্তিমুলক তালিকা ব্যাপারে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত ভুল স্বীকার করার মাধ্যমে তালিকা সংশোধন এবং জড়িতদের চিহিৃত করে বিচার দাবী করেছেন।
এ ব্যাপারে আদমদীঘি উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোরশেদ বলেন, রাজাকারের তালিকায় এই উপজেলার আওয়ামী লীগের যেসব নেতার নাম এসেছে তাদের নেতৃত্বে এই এলাকায় মানুষ মুকিযুদ্ধে অনুপ্রাণিত হয়েছিল।