নাটোর বড়াইগ্রামে মায়ের বকুনী খেয়ে কলেজছাত্রী ও স্বামীর পিটুনী খেয়ে অভিমানে এক গৃহবধু বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার রাতে এসব ঘটনা ঘটে। নিহতরা হচ্ছেন, উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের তিরাইল গ্রামের আবু সাঈদ মোল্লার মেয়ে রত্না আক্তার (১৯) ও একই গ্রামের মজনু মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫)। কলেজছাত্রী রত্না নাটোর এনএস সরকারী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত ৯টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে রত্না মায়ের বকুনী খেয়ে অভিমানে বিষ পান করে। পরে স্বজনেরা বুঝতে পেরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই সে মারা যায়। অপরদিকে, একই গ্রামের মজনু মিয়ার সঙ্গে তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের সাংসারিক অভাব অনটন নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মজনু তাকে মারপিট করলে মনোয়ারা অভিমান করে শনিবার সন্ধ্যায় বিষপান করেন। পরে গুরুতর অবস্থায় স্বজনরা তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।