বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পল্লী পীরব ইউনিয়নের সিহালী ফকিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী পল্লী বালিকা আরিফা আকতার মনিকা (১২) এখন কোথায় ? এই প্রশ্ন ওই স্কুলে তার সহপাঠি ছাত্র / ছাত্রী , শিক্ষক / শিক্ষিকা সেই সাথে এলাকাবাসিরও ।
এদিকে ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে ঘটনার পর থেকে মনিকাকে সরিয়ে দেয়ার আশংকা করা হলেও এলাকার মফিজ উদ্দিনের লম্পট পুত্র ব্যবসায়ী সফির আহম্মদ (৫৫) এখন গা ঢাকা দিয়ে আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়িয়ে যাচ্ছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ ।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় , চলতি মাসের ৭ তারিখে স্থানীয় শিহালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী প্রতিষ্ঠনের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ী সফির উদ্দিন ফুসলিয়ে মনিকাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায় এবংকোটা ঘড়ে তার শ্লীলতাহানী ঘটায় । এসময় তার গোংগানীর শব্দে স্থানীয়দের অনেকে সেখানে যায় এবং ওই ফাঁকা বাড়ী থেকে কান্নারত অবস্থায় মনিকাকে উদ্ধার করে। বিষয়টি কিছুনা এমন কথা বলে লম্পট নিজেকে নির্দোষ দাবী করলেও এলাকার লোকজন ঘটনাটি জানতে পেরে ওই লম্পটকে আটক করে তার কাছে শ্লীলতহানীর ক্ষতিপুরণ বাবদ দেড় লাখ টাকা আদায় করে তাকে ঘটনাস্থল ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়।
এরপর টাকা আদায়কারীরা শ্লীলতাহানীর শিকার ছাত্রী মনিকার মা পেয়ারা বেগমের হাতে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে তাদের আপাতত বাড়ী ঘড়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে তাদের অজ্ঞাত স্থানে যেতে বাধ্য করে। মনিকার বাবা ওহেদুল রিক্সা চালানোর কাজে ঢাকায় অবস্থান করায় তার সাথে যোগা যোগ করা হোলে তিনি জানান , তিনি কিছু জানেন না । এলাকাবাসীর ধারণা মনিকাকে হয়তো গ্রাম থেকে সরিয়ে ফেলে হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষক রফিকুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি এবং শিক্ষকরা ঘটনাটি লোক মুখে শোনার কথা জানান। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও শিক্ষানুরাগী মুহা ঃগোলাম রাব্বানীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ সংস্থা এফএনএস’র কাছে ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন , ঘটনার পর এলাকার কতিপয়রা লম্পট সফিরকে হাতে নাতে আটক করে এবং প্রমান হিসাবে ওই সময়ের ছবি মোবাইলে রের্কড করে। তিনি আরো জানান , স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চললেও মনিকাকে গত কয়েকটি পরীক্ষায় অংশ নিতে দেখা যায়নি।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি সার্বিক ) মিজানুর রহমান বলেছেন , লোক মুখে শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হলে ঘটনার শিকার মনিকা ও তার মাকে পাওয়া না যাওয়ায় পুলিশ ফিরে এসেছে, কেউ ঘটনা সম্পর্কে পুলিশের কাছে মুখ খোলেনি। এলাকাবাসির কেউ কেউ বলেছে , এই ঘটনার লেনদেনের সাথে যারা জড়িত তাদের ভয়েই সবাই চুপ রয়েছে , মুখই খুলছেনা কেউ !
অন্যদিকে অমার্জনিয় অপরাধ করার পরও লম্পট সফির উদ্দিন এখন পর্যন্ত আইনের আওতায় না আশায় এলাকাসীর মধ্য চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সচেতন এলকাবাসীর প্রশ্ন,বিজয়ের মাসে একজন শিশু ধর্ষিতা হবার পর তার কোন হদিস না মিললেও এলাকার চিহ্নিত লম্পট বুক ফুলিয়ে রয়েছে কোন শক্তিবলে ?