তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোডের ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের (ইউজিভি) শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইউজিভির অ্যাকাডেমিক ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলার সাথে জড়িত থাকায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকের পদ থেকে হাফিজুর রহমান রুমিকে বহিঃস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজে ফার্স্ট ইউজিভি আইসিটি কার্নিভাল ২০১৯-এর কার্যক্রম চলছিল। একপর্যায়ে ওই ইউনিভার্সিটির ছাত্র ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা জোবায়ের ইসলামের সাথে কয়েকজন ছাত্রের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ইউনিভার্সিটির পাশেই চায়ের দোকানে বসে থাকা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক হাফিজুর রহমান রুমির চোখে পরলে তিনি গিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। এ সময় জোবায়ের রুমিকে লাঞ্ছিত করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে জোবায়ের ও রুমি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে এবং মারধরের ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে রুমির সহযোগিরা ভার্সিটি অ্যাকাডেমিক ভবনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালালে শিক্ষার্থীরা ভেতরে ঢুকে মূল গেট আটকে দিয়ে আত্মরক্ষা করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হন। বিষয়টি নিয়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পরলে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ঘটনায় সাথে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এ ছাড়া বিদেশী ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে তার গাড়িতে করে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, বাহিরের ঝামেলার পর হঠাৎ করেই কিছু লোকজন এসে ক্যাম্পাসের মধ্যে ভাঙচুর করেন। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম পিপিএম জানান, বর্তমানে ওই এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অপরদিকে হামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক পদ থেকে হাফিজুর রহমান রুমিকে বহিঃস্কারের জন্য সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বরাবর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েতউদ্দিন সেরনিয়াবাত সুমন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে পাঠানো হয়েছে। বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রাজ্জাক।