বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্ত্বিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের উপ প্রকল্প পরিচালক (অর্থ ও বাজেট) মোঃ আবু বকর সিদ্দিক বলেছেন,ইসলামের প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
বুধবার দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিস মিলনায়তনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে মসজিদভিত্ত্বিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রাক-প্রাথমিক সহজ কুরআন শিক্ষা ও দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের সমন্বয়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ এক অধ্যাদেশবলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ২৮ মার্চ ১৯৭৫ সালে ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন’ এ্যাক্ট প্রণীত হয়। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান। সুপ্রাচীনকাল থেকে এ দেশে ইসলামী আদর্শ ও মূল্যবোধের লালন ও চর্চা হয়ে আসছে। ইসলামের এই সমুন্নত আর্দশ ও মূল্যবোধের প্রচার ও প্রসার কার্যক্রমকে বেগবান করার লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এ্যাক্ট অনুযায়ী বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।
তিনি আরও বলেন,১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।এ প্রকল্পে মসজিদের ইমামগণ মসজিদ কেন্দ্রে শিশু ও বয়স্ক শিক্ষার্থীদেরকে বাংলা, অংক, ইংরেজী, আরবী, নৈতিকতা ও মূল্যবোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দান করছেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুবিধাবঞ্চিত স্থানে এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তার ও র্কোস সম্পন্নকারীদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক অভিপ্রায় ও দিকনির্দেশনায় প্রকৃত ইসলামী চেতনার মর্মালোকে আরবি ধারায় একটি দ্বীনি শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশে একযোগে ১ হাজার ১০টি দারুল আরকাম এবতেদায়ী মাদ্রাসাও প্রতিষ্ঠা করা হয়। গনশিক্ষা কার্যক্রমে আগে ২৩ কোটি টাকার প্রকল্প ছিলো এবারে ৭-৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প খুব শিঘ্রই অনুমোদিত হয়ে আসছে। দেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৭৮ হাজার কেন্দ্রে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ২০২০ সালের জন্য ১ লাখ ২৫ হাজার কেন্দ্রের জন্য প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে। আগামী অর্থ বছরে এ প্রকল্পটি পাশ হলে শিক্ষা কার্যক্রমে বিরল অবদান রাখবে। সে জন্য তিনি সবাইকে দোয়া করার জন্য অনুরোধ করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফারুক আহামেদের সভাপতিত্বে সমন্বয়সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার হোসেন,গবেষণা কর্মকর্তা মোঃ নাজিরুল ইসলাম। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাজিতপুর উপজেলার ফিল্ড সুপার ভাইজার মোঃ আবু বকর সিদ্দিকের পরিচালনায় অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাস্টার ট্রেইনার মাও.জসিম উদ্দিন, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক মোঃ আমিনুল হক, মোঃ ইছাম উদ্দিন, মাও.ইমরুল হাছান প্রমুখ। সভায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে এবং প্রকল্পের অগ্রগতির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাও.শাইখুল ইসলাম।
পরে প্রধান অতিথি জেলা সদর উপজেলায় প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যায়ে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় ইসলামিক ফাউন্ডেশন কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফারুক আহামেদ, ঠিকাদার দিল মোহাম্মমদসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।