নুরুল হক নূর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত সময়ের আলোচিত এক ছাত্রের নাম। যার রয়েছে, প্রতিবাদী বলিষ্ট কন্ঠ। দক্ষ নেতৃত্ব। দূরদর্শিতা। সবমিলে মিষ্টভাষী উদীয়মান মেধাবী এক ছাত্র নেতা। কোটা সংস্কারে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন করায় তাকে অস্ত্রসহ হুমকি দেয় হয়। এ বিষয়ে তার পক্ষে জিডি পর্যন্তও নেয়নি থানা পুলিশ।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি হওয়ার আগে ও পরে এ পর্যন্ত একাধিকবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হামলার শিকার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একেক সময় একেক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত অভিযোগ তুলে আওয়ামী স্তবকরা। নূরের উপর নিসংশ হামলার কথা বলতে গিয়ে চ্যানেল আইয়ের উপস্থাপিকা এক টক-শোতে নূরের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন- ‘ছাত্রলীগ আপনাকে মারতে মারতে শেষ পর্যন্ত ডাকসুর ভিপি বানিয়ে দিলো।’
আওয়ামী অপক্ষমতার প্রোপাগা-ায় নূরকে দমিয়ে রাখা যায়নি। শেষ পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়ে তাকেই নেতা নির্বাচিত করেছেন। হাসপাতালের বেডে শুয়েই ভিপি পদে জয়ের খবর পান নূর। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্যতম যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে তিনি আলোচনায় আসেন। ২৮ বছর পর গত ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনে সবাইকে চমকে দিয়ে তিনি ভিপি নির্বাচিত হন। নির্বাচনে ঘোষিত ফলাফলে নূর ১১ হাজার ৬২ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন পেয়েছেন ৯ হাজার ১২৯ ভোট।
‘প্রহসনের ভোটে’ প্যানেলের সব প্রার্থীর পরাজয়ের মাঝে ভিপি পদে এ জয় যে নূরকে খুব একটা স্বস্তি দেয়নি। সেটি বোঝা যায়, তার অগ্নিঝরা বক্তিতায়। নূর বিজয় হয়েও নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি করেন। নির্বাচনের দিন রাত তিনটায় তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় নূর গণমাধ্যমে জানান, এ রকম নির্বাচন আমাদের কারোরই প্রত্যাশা ছিলনা। জাতীয় নির্বাচনের পর নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর মানুষের যে অনাস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, আমরা ভেবেছিলাম সবার কাছে গ্রণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সেখানে আশার আলোর সঞ্চার করা হবে। সারা দেশের মানুষ তাকিয়ে ছিল এই ভোটে। কিন্তু প্রত্যাশিত ভোট হয়নি। প্রশাসনের সহায়তায় ছাত্রলীগ যে কারচুপি করেছে তা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, পুরো দেশকে হতাশ করেছে। সুতরাং ১১ মার্চের নির্বাচন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়।
ভোট জালিয়াতি, জালভোট, ব্যালটবাক্স ছিনতাই ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোটের দিন দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় নূরের নেতৃত্বাধীন প্যানেল। কিন্তু ভাগ্যে থাকলে ঠেকায় কে? বর্জন করা ভোটেই বিজয় হন নূর। শিক্ষার্থীরা যাকে এতো আশা-আকাঙ্খা নিয়ে নেতা নির্বাচিত করলেন, তিনি শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব নেবেন কি-না সেটি নিয়েও প্রশ্ন দেখা দেয়। কারণ তিনি আগেই ভোট বর্জন করেছেন। ভোট বর্জনকারী নূর শেষ পর্যন্ত ভিপি পদে শপথ নেন।
গত ১৬ মার্চ বিকালে গণভবনে ডাকসু ও হল সংসদের প্রতিনিধিদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন নূর। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পা ছুয়ে সালাম করে নূর বলেন, ‘আমি আড়াই বছর বয়সে মাকে হারাই। ছোটবেলায় আমার একজন স্কুল শিক্ষিকার মাঝে মায়ের ছায়া দেখতে পেয়েছি। আর একজনের মধ্যে আমি মাতৃত্বকে খুঁজে পেয়েছি, প্রধানমন্ত্রীর মাঝে আমি মাতৃত্বের ছায়া খুঁজে পেয়েছি।’ প্রধানমন্ত্রী নূরের মাথায় হাত রেখে দোয়া করেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রধানমন্ত্রী মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়ার পরও অধিকার প্রশ্নে কথা বলায় আওয়ামী দুষ্কৃতদের হামলা-মামলা থেকে রেহাই পাননি নূর।
সাধারণ নূর অসাধারণ : সাধারণ পরিবারে জন্ম নিয়ে অসাধারণ হয়ে উঠে এসেছেন নুরুল হক নূর। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতে তার তেমন কোনো পরিচিতিই ছিলনা। কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হওয়ার পর তিনি তাতে জড়ান। শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করেন। হাসান আল মামুন, রাশেদসহ অন্য সহপাঠীদের নিয়ে গড়ে তোলেন ‘সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’। পরিষদে অন্তর্ভুক্তিই নূরের ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়। পরিষদের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা হলেও মূল কার্যক্রম নূরকে ঘিরেই পরিচালিত হয়েছে।
তুমুল কোটা আন্দোলন চলাকালে প্রশাসন ও ছাত্রলীগের অব্যাহত হামলার মুখে দমে যাননি নূর। কর্মসূচি দিয়েছেন, মাঠে থেকেছেন এবং একাধিকবার হামলা, মামলা ও কারাবরণের মুখোমুখি হন। তবু কোটা আন্দোলন থেকে পিছু হটেননি তিনি।
শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি কোটাব্যবস্থা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। জয় হয় নূরসহ কোটা আন্দোলনকারী নেতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
শুধু কোটা সংস্কার আন্দোলন নয়, পরবর্তী সময়ে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনেও সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেন নূর। কোটা আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনে যুক্ত করেন। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিকে তুলে ধরেন দেশবাসীর কাছে।
ওই দুটি আন্দোলন নূরকে পুরো দেশবাসীর নিকট ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়। শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় নূর। ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা যেখানে নিজ দলের লেজুড়বৃত্তি করে, সেখানে নূর শিক্ষার্থীদের প্রকৃত দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন করেন। এটিই অন্যদের চেয়ে তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। ফলশ্রুতিতে নূর সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের বৈঠকেও অকোতভয়ে অগ্নিঝরা বক্তব্য রাখতে দ্বিধা করেননি। গণমাধ্যমসহ টেলিভিশনে ন্যায প্রশ্নে ন্যায় কথা বলতে নূরকে সংকোচ হতে দেখা যায়নি।
প্রারম্ভিক জীবন : নূর পটুয়াাখালীর গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ইদ্রিস হাওলাদার একজন ব্যবসায়ী। এর আগে তিনি ১৯৯২ থেকে ৯৭ সাল পর্যন্ত সাবেক ইউপির মেম্বার ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় সমর্থক। মাতা নিলুফা বেগম। নূরের বয়স যখন পাঁচ বছর তখন তার মা মারা যান। পরে নূরের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার বাধেন। তিন ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে নূর দ্বিতীয়। স্থানীয় মধ্য চর বিশ্বাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে পার্শ্ববর্তী চর বিশ্বাস জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে নূর গাজীপুরে চলে যান। গাজীপুরের কালিয়াকৈর গোলাম নবী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ২০১০ সালে এসএসসি পাস করেন। এরপর ঢাকার উত্তরা মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০১২ সালে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন তিনি।
রাজনৈতিক জীবন : ৭ম শ্রেণিতে পড়াকালীন বিদ্যালয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় নেতা ছিল নূর। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসিন হল ছাত্রলীগের উপ-মানব উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিতর্ক, অভিনয়সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।
হামলার শিকার নূর : নূরের উপর প্রথম আক্রমণ আসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। এসময় তাকে অস্ত্রসহ হুমকি দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। কোটা আন্দোলন জোরালো হওয়ার সময় থেকেই চূড়ান্ত দাবি আদায় পর্যন্ত কয়েক দফা হামলার শিকার হন তিনি। ২০১৮ সালের ৩০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে মিডিয়ার উপস্থিতিতে তার উপর হামলা হয়। ডাকসু নির্বাচনে রোকেয়া হলকেন্দ্রে ভোটের অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হয়ে সংজ্ঞা হারান নূর।
অছাত্র-বহিরাগতদের হল থেকে পরিত্যাগ করতে বলার অভিযোগে গত ১ এপ্রিল সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন তিনি। উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী ফরিদ হাসানকে পেটানোর প্রতিবাদ জানাতে এসএম হলে যাওয়ার পর ২ এপ্রিল বিকেলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাকে অবরুদ্ধ করে। ওই ঘটনার সময় হলের বাইরে অবস্থানরত শামসুন্নাহার হলের ভিপি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমিসহ নূর ও অন্যান্যদের ওপর ডিম ছুড়ে হেনস্তা করারও অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। গত ২৫ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান দিতে যাওয়ার সময় বগুড়াতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে নির্মমভাবে হামলার শিকার হন নূর। হামলায় নূরসহ পাঁচজন আহত হন। (তথ্যসূত্র : প্রথম আলো- ২৬.০৫.২০১৯)
গত ১৪ আগস্ট বেলা এগারোটায় নিজ শহর পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া বাজারে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন নূর। দুষ্কৃতকারীরা নূরের মোটরসাইকেল আটকে তাকে একটি স্টিলের দোকানে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এমপি এসএম শাহাজাদা সাজু এবং গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন শাহর নেতৃত্বে ওই হামলা ঘটনা ঘটেছে মর্মে গণমাধ্যমে অভিযোগ করেন নূর। (তথ্যসূত্র : যুগান্তর- ১৫.০৮.২০১৯)
নতুন ভিপিকে বহিষ্কার দাবি : ভিপি ঘোষণার পর উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর নেতৃত্বে নূরকে বহিষ্কারের দাবি জানায় ছাত্রলীগ। পরদিন ১২ মার্চ সকাল থেকে ভিসির বাসভবনের সামনে নতুন ভিপির বহিষ্কার দাবিতে বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগ। ভোটগ্রহণ চলার সময় রোকেয়া হলে ‘ব্যালট উদ্ধার’র নামে নাটক সংঘটিত করে উপাধ্যক্ষকে আক্রমণ করা হয়েছে বলে নূরের বিরুদ্ধে অভিযোগও তুলে রাব্বানী।
নূরের বিজয়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ : ভিপি হিসেবে নূরের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগকর্মীদের বিক্ষোভ, হইচই-এ ফল ঘোষণায় বিরতি দিতে বাধ্য হন উপাচার্য। পরে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদকসহ বাকি পদগুলোতে ভোটের ফল ঘোষণা করেন উপাচার্য। সাধারণ সম্পাদকসহ বাকি ২৪টি পদের একটি বাদে অন্যগুলোতে ছাত্রলীগের সম্মিলিত শিক্ষার্থী পরিষদ প্যানেলের প্রার্থীরাই জয়ী হন।
ফল ঘোষণা শেষ হলে আবারও বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগ। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ‘এ ফলাফল মানি না, মানব না’ ‘নূরের চামড়া, তুলে নেবো আমরা’, ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দেয়।
মামলার ফাঁদে নূর : ডাকসু নির্বাচন চলাকালীন রোকেয়া হলের প্রভেস্ট জিনাত হুদাকে লঞ্ছনা ও হল ভাঙচুরের অভিযোগে ভিপি নূর, অপর ভিপি প্রার্থী ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লিটন নন্দীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং- ৯। গত ১১ মার্চ রাতে মামলাটি দায়ের করেছে নৃত্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মারজুকা রায়না। এছাড়া মামলায় জিএস প্রার্থী ঢাবির জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খন্দকার আনিসুর রহমান, জিএস প্রার্থী ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সভাপতি উম্মে হাবীবা বেনজীর ও রোকেয়া হল সংসদে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী শেখ মৌসুমীসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৩০/৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। (তথ্যসূত্র : বাংলানিউজটুয়েন্টিফোরডটকম- ১২.০৩.২০১৯)
গত ১০ ডিসেম্বর নূরের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে মানহানির মামলা করেছে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্র সংসদের ভিপি মুজাহিদ কামাল উদ্দিন। আদালত শাহবাগ থানার ওসিকে তদন্ত করে আগামী ৮ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদীর অভিযোগ, নূর ভিপি পদটিকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, অনৈতিক তদবির বাণিজ্য ও অর্থ লেনদেনে জড়িয়ে পড়েন। গত ৫ ডিসেম্বর দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে বাদি এ কথা জেনে মামলা করেন। (তথ্যসূত্র : যুগান্তর- ১১.১২.১৯)
যবনিকা : আমরা মনে করি, ভিপি নূর শুধু নূরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং নূর সত্যি যেনো সময়ের সাহসী কন্ঠ। আমরা চাই, নূরের সাহসী কন্ঠ হয়ে উঠুক দেশ ও নিষ্পেসিত মজলুম মানুষের অধিকার প্রশ্নে এক অনির্বান শিখা। যে শিখা জ্বলবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে। পুড়বে অত্যাচারির সব অত্যাচারের ফাঁদ। নূরের কথা আজ এই হোক; তিনি নিষ্পেসিত, নিপীড়ন এবং মজলুমের লোক।
[এম. কে. দোলন বিশ্বাস, দৈনিক সংবাদের সাবেক সহ-সম্পাদক]