বগুড়ার কাহালুতে সরকারি খাদ্য গুদামে কৃষক সেজে ধান সরবরাহ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগী। পরে তাদের দু’জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দন্ড প্রাপ্ত ২জন হলেন- কাহালু সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাকোহালী গ্রামের সামছুদ্দোহা খান (৪৫) ও লক্ষ্মীপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন (৪০)।
বুধবার দুপুরে কাহালু সরকারি খাদ্য গুদামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাঃ মাছুদুর রহমান।
জানা গেছে, এবারে চলতি মৌসুমে উপজেলার সদর খাদ্য গুদামে প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। ্ইত্বমধ্য এজন্য লটারির মাধ্যমে ২হাজার ৪০০ কৃষক নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২শত কৃষকের নিকট থেকে ১টন করে ধান কেনার কথা রয়েছে। ২ হাজার ২শত কৃষকের মধ্যে ধান সরবরাহ করতে কেউ ব্যর্থ হলে অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা ২ শতাধিক কৃষকের থেকে ধান সরবরাহ করবেন।
একটি দায়িত্বশীল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান ,বুধবার বেলা ১১ টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা সামছুদ্দোহা ও তার সহযোগী ইসমাইল দুই টন ধান খাদ্য গুদামে নিয়ে যায় এবং লটারিতে নির্বাচিত দুইজন কৃষকের নামে ধান সরবরাহ করার চেষ্টা করে।
বিষয়টি ইউএনও মুহাঃ মাসুদুর রহমান জানতে পেরে পুলিশের সহযোগিতায় খাদ্য গুদামে উল্লিখিত ২জনকে হাতে নাতে আটক করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতা সামছুদ্দোহা খানকে এক মাস এবং তার সহযোগী ইসমাইল হোসেনকে ১৫ দিনের বিনা শ্রমকারাদন্ড প্রদান করেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক।
শেষ খবর পর্যন্ত বুধবার কাহালু খাদ্য গুদামে মোট ১৫৮ জন কৃষক ১৫৮ মেট্রিক টন ধান সরবরাহ করেছেন।
কাহালুর নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাছুদুর রহমান আরও জানান, নির্ভয়ে খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহ করতে পারে এজন্য অভিযান চালানো হয়েছে। কৃষক সেজে ধান বিক্রি করার চেষ্টায় সামছুদ্দোহা খানকে এক মাসে ও ইসমাইল হোসেনকে ১৫ দিনের কারাদ- দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আখেরুর রহমান সহ কাহালু থানা পুলিশের একটি দল।