বগুড়ার নন্দীগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ই্্্্্্্্্্উএনও) বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোসলেম উদ্দিনের নেতৃত্বে মানববন্ধন পালন করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ই্্্্্্্্্্উএনও) মোছা. শারমিন আখতার বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয় নন্দীগ্রাম উপজেলার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া ও সরকারি ভাতা, অনুদান বাতিল এবং বাদপড়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তালিকায় অন্তভুক্তির দাবি করেন।
এ দিকে মঙ্গলবার বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হাবিবুর রহমানকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়েছে ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পূর্বে শফিউল আলম ছবি চাঁদার টাকা না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানকে লাঞ্ছিত করা হয়। তবে চাঁদার বিষয় অস্বীকার করে শফিউল আলম নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে বলেন, আমাদের যারা কমান্ডার তাদের নাম না দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের তালিকায় হাবিবুর রহমান নিজেরসহ তার অনুসারীদের নাম আগে লিখে দিয়েছে। এ জন্য তাকে চেয়ার থেকে হাত ধরে তোলা হয়েছে। লাঞ্চিত করা হয়নি। হাবিবুর রহমান নন্দীগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নয়। এখান থেকে সে ভাতা পায় না। হাবিবুর রহমান বলেন, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের তালিকা আমি করেনি। আর আমি কাজীপুরের মুক্তিযোদ্ধা, সেখান থেকে ভাতা পান বলে দাবী করেন।