নওগাঁর মান্দায় সুমি আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্থানান্তর করা হয়েছে রামেক হাসপাতালে।
পানি খাওয়ার অজুহাতে অজ্ঞাত এক যুবক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুমি আক্তারের বাসায় ঢুকে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তিনি এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। সুমি আক্তার মান্দা সদর ইউনিয়নের কামারকুড়ি মন্ডলপাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদের দ্বিতীয় স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার কিছু পরে গৃহবধূ সুমি আক্তারের চিৎকার শুনে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ সময় বাড়ির ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করতে দেখে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। ঘটনার সময় সুমির স্বামী হারুনকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
সুমি আক্তারের স্বজনরা জানান, প্রায় ৬ বছর আগে উপজেলার বড়পই গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে সুমির সঙ্গে কামারকুড়ি গ্রামের হারুন অর রশিদের বিয়ে হয়। সুমি আক্তার তার স্বামী হারুনের দ্বিতীয় স্ত্রী। বিয়ের পর থেকেই হারুনের প্রথম স্ত্রী পারুল বিবি তাকে প্রায় নির্যাতন করে আসছিল।
সুমির স্বজনদের অভিযোগ, সুমি ও হারুনের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত। এসব বিষয়ে তাকে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকিও দিয়ে আসছিল স্বামী হারুন। তবে কি কারণে কে বা কারা সুমিকে এভাবে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে এ বিষয়ে সুমির স্বজনরা সুস্পষ্ট কিছুই জানাতে পারেন নি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বামী হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, তাদের মধ্যে সামান্য দাম্পত্য কলহ ছিল। কিন্তু এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন তিনি।
মান্দা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ এজাহার দাখিল করেন নি। এজাহার পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।