সৈয়দপুরে কৃষাণ- কৃষাণির দু’চোখে এখন বুক ভরা স্বপ্ন পূরনের অপেক্ষা। তারা আশায় বুক বেঁধে আছে কখন গোলাভরা ধান উঠবে। আসবে তাদের অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা। দিগন্ত বিস্তৃত ধান ক্ষেতে সোনালী আভা এরকমই আশা জাগাচ্ছে নিরন্ন কৃষকের তপ্ত বুকে। চারিদিকে শীতের আগমনি বার্তা। কৃষাণিকে খই আর মুড়ি ভাজার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। দিগন্ত বিস্তৃত ধান ক্ষেত জুড়ে সোনালী আভা আর সকালের এক টুকরো রোদ্দুর শিশিরের বর্ণিল দৃশ্য মুক্তার আবির ছড়ায়। এ সবের মধ্যেই ঋতু বৈচিত্রের দরজায় এসেছে শীত। নতুন ধান কাটা মাড়াই নবান্ন উৎসব অন্যদিকে খেজুরের রস। গ্রামে গ্রামে যেন আনন্দের অন্ত নেই। এবারে দূর্যোগ না থাকায় ক্ষেতের ক্ষতি হয়নি। অপরপাশে আশ্বিন- কার্তিকের মৌসুমি অভাব অনটন অর্থাৎ মঙ্গা এখন আর নেই। কৃষকের গোলায় নতুন ধান উঠায় এ অঞ্চলের মানুষের মুখে সুখের হাসি ফুটছে। কেটে গেছে তাদের হতাশা। বিভিন্ন হাট বাজারে নতুন ধান বেচা কেনা হচ্ছে। ধান বিক্রির টাকা দিয়ে অনেক কৃষক হালের গরু কিনবে। এ সময় এলাকার সবাই ধান কাটা মাড়াই বিক্রি এবং চাল তৈরীর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। সৈয়দপুরে রয়েছে ছোট বড় মিলে প্রায় অর্ধশত চাল কল। বর্তমানে এ চালকল গুলো সচল হয়েছে। সৈয়দপুর কৃষি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, অসময়ে বৃষ্টির কারণে যৎ সামান্য ফসলের ক্ষতি হলেও ফলন হয়েছে এবার ভাল। তাছাড়া বাজারে ধানের দামও খারাপ না।