সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা ইটভাটায় ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমির উর্বর অংশ (টপ সয়েল)। প্রতিদিন ট্রাক ও ট্রাক্টর দিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষি জমির মাটি ভাটায় নেয়া হচ্ছে। ইটভাটার মালিকরা টাকার লোভ দেখিয়ে চাষিদের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছে কৃষি জমির মাটি। টপ সয়েল দিয়ে চলছে ইটভাটা ও বাড়ি ভরাটের কাজ। কৃষক জমিতে সারের মাত্রা বাড়িয়ে দিলেও উর্বরতা শক্তি আর ফিরিয়ে আনা যায় না মনে করেন অভিজ্ঞ কৃষকরা। ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে আবাদি জমির পরিমাণ। এভাবে জমির টপ সয়েল তুলে নেয়া অব্যাহত থাকলে ইরি বোরোসহ রবি শষ্য উৎপাদনে বিপর্যয় নেমে আসবে। সরেজমিন দেখা গেছে, সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ক’দিন আগেও যেখানকার জমিতে সোনা ফলতো। দিগন্ত জুড়ে দেখা যেত সবুজের সমারোহ। এখন জমির বুকে নির্বিচারে চালানো হচ্ছে যন্ত্রদানব ভেকুর। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে শতশত বিঘা ফসলি জমি। কৃষকের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে স্থানীয় একাধিক দালালচক্র নামমাত্র মূল্যে আবাদি জমির মাটি বিক্রিতে উৎসাহিত করছেন। বিভিন্ন আবাসন কোম্পানিও হুমড়ি খেয়ে পড়ে ফসলের জমিতে। বিভিন্ন উপায়ে তারা কেড়ে নিচ্ছে কৃষিজমির শক্তিশালী মাটি। জানা গেছে, একহাত গর্ত করে জমির উর্বর অংশ (টপ সয়েল) কেটে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। এতে হ্রাস পাচ্ছে কৃষি জমি। কমে যাচ্ছে জমির উৎপাদন মতা।