বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ছাত্রী শ্লীলতাহানীর অভিযোগে দায়ের করা মামলা নথি ভুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়ফুল বেওয়া নামে একজন অভিভাবক বাদী হয়ে সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে আসামি করে শাজাহানপুর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। তবে ঘটনার পর থেকেই লাপাত্তা রয়েছে লম্পট শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম।
অপরদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম, এসএম তাহেরুল ইসলাম এবং পারভেজ আহম্মেদের সম্বন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে তদন্ত সম্পন্ন করেছে তিন সদস্যের ওই তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, সরেজমিনে তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। যথা সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়া হবে।
থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বিভিন্ন সময় ৪র্থ শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন দুপুরে টিফিনের সময় ওই ছাত্রীকে তিনতলার একটি রুমে নিয়ে গিয়ে শরিরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে জোর জবরদস্তি করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, শাজাহানপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ছাত্রী শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠে। এ ছাড়া ৪র্থ শ্রেণীর তিনজন ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর একটি ভিডিও সিডি ডিস্ক কে বা কারা প্রধান শিক্ষকের অফিসের দরজার নীচ দিয়ে গোপনে দিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধান শিক্ষক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মঙ্গলবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন জানান। আবেদনের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার তাদের তদন্ত সম্পন্ন করেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম শুধুমাত্র লম্পট স¦ভাবেই ছিলেন না তিনি শিক্ষার্থীদেরকে জোর করে তার কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করতেন। এবং পরিক্ষার হলে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে তার প্রাইভেট স্টুডেন্টকে সহযোগীতা করতেন। ওই লম্পট শিক্ষকের বিভিন্ন স্থানে এগারটি নারী কেলেংকারীর ঘটনা রয়েছে বলেও জানান এলাকাবাসি।