বর্তমানে ভেজাল লুব্রিকেন্ট মবিলে ভরে গেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর বাজার। আর এ ভেজাল মবিল ব্যবহার করে অনেকের গাড়ীর ইঞ্জিন নষ্ট হয়েছে এমন অভিযোগ মিলেছে। ভেজাল ও নিম্নমানের এ সকল লুব্রিকেন্ট তৈরী করা হচ্ছে। পরে মোড়কের গাঁয়ে লেগে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন কম্পিউটারে তৈরী নকল লেবেল। আর রং চং দিয়ে এগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে সৈয়দপুর বাজারের পাশাপাশি ডোমার, ডিমলা, কিশোরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, চিলাহাটি, চিকলী, পাগলাপীর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারীসহ বিভিন্ন স্থানে। বিশেষ করে নীলফামারী জেলায় এ সকল ভেজাল লুব্রিকেন্ট প্রচুর পরিমাণে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ গুলো বিক্রি করা হচ্ছে খোলা ও বোতলজাত। দাম নেয়া হচ্ছে নিম্নে ১৬০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত। অথচ ভেজালমুক্ত মবিলের দাম ৩৯০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সচেতন মোটর সাইকেল ও অন্যান্য গাড়ী চালকরা শোরুমের এবং পাম্পের মবিল ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু ভেজালকারীরা বর্তমানে অত্যন্ত চালাক। ছলে বলে কৌশলে তারা খোলা বাজারের পাশাপাশি পাম্প গুলোতেও তাদের ভেজাল মবিল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। একাধিক মোটর সাইকেল চালক জানান, বাজারে নিম্নমানের ভেজাল মবিল ব্যবহার করার পর তাদের গাড়ীর সমস্যা দেখা দিয়েছে। তারা জানান, এ সকল ভেজাল লুব্রিকেন্ট বন্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো দরকার। তা না হলে ভেজালকারীরা নিজে লাভবান হবে আর অন্যদিকে তিগ্রস্ত হবে লাখ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করা গাড়ীর মালিকগণ। এ ব্যাপারে বেশ কয়েকটি পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজারের সাথে কথা হলে তারা বলেন, বাজারে ভেজাল মবিল এসেছে। তবে কারা এসকল ভেজাল করছে তারা জানেন না। তবে যারাই এ ভেজালের সাথে জড়িত থাক তা ধরা পড়বেই।