যশোরের কেশবপুরে তীব্র শৈত্য প্রবাহে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে । দিনভর শহরে মানুষের উপস্থিতি ছিলো খুবই কম। সাধারণ মানুষ পড়েছেন বিপাকে। শীতে বয়োজেষ্ঠ ও শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফিরফিরে বাতাশে নি¤œ আয়ের মানুষ গুলো জবু থুবু অবস্থায় কাজ করে চলেছেন। দিনভর সুর্যের দেখা মেলেনি। কেশবপুর শহরের পুরাতন গরম বস্ত্রের মার্কেট আজাদ মার্কেটে গরম কাপড় কিনতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এখানে সকল শ্রেনীর মানুষ আসছেন গরম কাপড় কিনতে। ভ্যানচালক আবু মুসা, ফেরদৌস হোসেন ,আলমামুন, তৈনুর আলী, কামরুল গোলদার জানান, ভ্যানের উপর নির্ভর করে তাদের সংসার চলে ,কিন্তু কনকনে শীতে তারা যাত্রী পাচ্ছেন না। গত দু দিনে কেশবপুরে মাত্রাতিরিক্ত শীত আর সে সাথে বাতাসে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা কমতে শুরু করেছে। পুরাতন গরম কাপড়ের পাশাপাশি পুরাতন গরম কাপড় বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বৃদ্ধ ও শিশুরা শীত জণিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অফনেকেই কেশবপুর হাসপাতাল ও স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। বৃহষ্পতিবার থেকে কেশবপুরে শীতের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার বিকেলে কেশবপুরের বিভিন্ন সড়কে মানুষের চলাচল খুবই কম ছিলো। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি হতদরিদ্র মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছেন। নিতান্ত যাদের ঘরের বাইরে না বেরুলে হয়না তারাই বাজার ও শহরে আসছেন।