সাংবাদিকরা নির্যাতিত হচ্ছেন কেন?
প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেছিলেন, সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে।
এক কথায় এমন উত্তর কেবলমাত্র তাঁর পক্ষেই দেয়া সম্ভব। যিনি নিবেদিত সবসময় আলোর জন্য, ভালোর জন্য। আর এমন নিরন্তর কর্মপ্রিয় মানুষের নাম- শাহ আলমগীর। যিনি চলে যাওয়ার পর আমার কাছে মনে হয়েছে ছাত্র জীবনের সেই অভিভাককে হারিয়েছি চিরতরে। যিনি ২০০৩ সালে দৈনিক যুগান্তর কার্যালয়ে পরিচয়ের পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন নিরেট অভিভাবক-উৎসাহক এবং আমার সকল কাজের গঠনমূলক সমালোচক। কখনো কলাম লেখা প্রসঙ্গে, আবার সংগঠন নিয়ে অবিরত তাঁর ছিলো লোভ মোহহীন নির্দেশনা। যে নির্দেশনার হাত ধরে আমার প্রতিষ্ঠিত সেভ দ্য রোড এখন নিরাপদ ৪ পথ নিয়ে এগিয়ে চলছে। কথা বলছে- আকাশ-সড়ক- রেল ও নৌপথকে নিরাপদ করণের জন্য। অন্যদিকে অনলাইন প্রেস ইউনিটি গণমাধ্যম বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের জন্য স্মারকলিপি প্রদান সহ বিভিন্ন দাবী নিয়ে একের পর এক কর্মসূচী দিয়ে এগিয়ে চলছে। কৃতজ্ঞ আমি-আমরা অমোঘ আলোকিত মানুষটির কাছে।
আমার প্রিয়ই শুধু নয়; অসংখ্য সংবাদজনের প্রিয় শাহ আলমগীর স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নিঃসন্দেহে একজন আলোকিত সাংবাদিক। তার শেষ কর্মস্থল ছিল প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি)। এই প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করলেন। তার চিরবিদায় আমাদের জন্য বহুমাত্রিক শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। পেশাদার সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তার কথা নানাভাবে বিশ্নেষণ করা যায়। তিনি ছিলেন অন্যরকম একজন মানুষ। বন্ধু, স্বজন, দায়িত্ববান সহযোদ্ধা হিসেবে তিনি নানাভাবে আলোচনায় উঠে আসেন। নতুন প্রজন্মের যারা সৃজনশীল হিসেবে খ্যাতির সীমানায় বিস্তৃত, তাদের জন্য শাহ আলমগীর প্রেরণাজন।
তিনি যখন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন, তখন সাংবাদিকদের অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার ভূমিকা তার কর্মময় জীবনের একটি প্রশংসনীয় অধ্যায়। নির্ভরশীল সহযোদ্ধা, সহকর্মী, নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক শাহ আলমগীর আজ নেই; কিন্তু আমার মানসপটে ভেসে উঠছে তাকে ঘিরে কত কিছু! তিনি সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত হন ছাত্রজীবন থেকেই। উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর সাপ্তাহিক 'কিশোর বাংলা' পত্রিকায় যোগদানের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় তার হাতেখড়ি। তারপর তিনি দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ, সংবাদ ও প্রথম আলোতে কাজ করেন। ক্রমেই উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়ে তিনি দ্যুতি ছড়াতে থাকেন। হৃদয় ও পেশাদারিত্বের এ এক অটুট মেলবন্ধন। যমুনা ও মাছরাঙ্গা টেলিভিশনেও বার্তা বিভাগে গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পিআইবিতে যোগদানের আগে এশিয়ান টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধু যে সাংবাদিকতা পেশায়ই তিনি গন্ডিবদ্ধ ছিলেন, তা নয়। তিনি শিশুকল্যাণ পরিষদ এবং শিশু-কিশোরদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান 'চাঁদের হাট'-এর সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। ছিলেন বাংলাদেশের প্রাচীনতম শিশুতোষ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের নির্বাচি সভাপতি। শিশুসুলভ হাসির মানুষ শাহ আলমগীর তার কর্মজগতের গুরু ও দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকেও এ ব্যাপারে যে ভূমিকা পালন করেছেন, তা আমরা কখনোই বিস্মৃত হতে পারব না। দুস্থ সাংবাদিকদের কল্যাণে গঠিত ট্রাস্টের ক্ষেত্রেও তিনি প্রভূত অবদান রেখেছেন। কাজ করেছেন সততা, নিষ্ঠা, দায়িত্বশীলতা, একাগ্রতার প্রতি পূর্ণ অনুগত থেকে। একাধারে পেশাদার, নিষ্ঠাবান, সৃজনশীল সাংবাদিক, দক্ষ প্রশিক্ষক হিসেবে পরিচিত-বিবেচিত এই মানুষটি সর্বক্ষেত্রেই তার অন্যতম ভূমিকা পালন করেছেন এবং সেই অধ্যায়গুলো এ মুহূর্তে আমার সামনে ভেসে উঠছে। আমার কলাম সমগ্র সময়কথন-১ তাকে, প্রিয় তথ্যযোদ্ধা নাঈমুল ইসলাম খান, মুন্নী সাহা ও শ্যামল দত্ত দাদাকে উৎসর্গ করলে তিনি বলেছিলেন, ভালোবাসায় আপ্লুত হলাম।
আজও কানে ভাসে সেই ভালোবাসাময় উচ্চারণ। যতদূর মনে পড়ে- শাহ আলমগীর ২০১৩ সালের ৭ জুলাই পিআইবি’র মহাপরিচালকের গুরুদায়িত্ব পান। পরের দিন গিয়েছিলাম মননশীল মানুষটির দায়িত্বগ্রহণে শুভেচ্ছা জানাতে। অনলাইন প্রেস ইউনিটির তৎকালিন চেয়ারম্যান বরেণ্য সাংবাদিক ওবায়দুল গণি চন্দন সহ আমাদের সবাইকে প্রেরণা যুগিয়েছেন তিনি। চোখের পাতায় ভাসে এরপর পিআইবি ও অনলাইন প্রেস ইউনিটির উদ্যেগে একুশের আলোচনা সভা সহ বেশ কিছু কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নের দৃশ্য।
ইতিহাস অবশ্য বলে যে, ১৯৭৬ সালে যাত্রালগ্নে পিআইবি’র প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন আবদুস সালাম। এরপর এ. তোয়াব খান, এ বি এম মুসাসহ বিশিষ্ট সাংবাদিকরা পিআইবি’র মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রিয় তথ্যযোদ্ধা শাহ আলমগীরের আগে পিআইবি’র মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন ৩২ জন। সরকার ২০১৮ সালের জুলাই মাসে পিআইবি মহাপরিচালক হিসেবে মো. শাহ আলমগীরের মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধি করে। ফলে নিদেনপক্ষে ২০১৯ সালের জুলাই মাসের ০৭ তারিখ পর্যন্ত পিআইবি’র মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকার কথা ছিল আলমগীর ভাইয়ের। কিন্তু চলে গেলেন তার আগেই ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। তিনি ভাবতেন- সাংবাদিকরা যে বৈরী পরিবেশে টিকে থাকার চেষ্টা করে তা আমার নিজের জীবনেও তো দেখেছি।
একবার তিনি বলেছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর প্রায় এক বছর তারা দুই বন্ধুকে রাতের বেলা দোকানে ঘুমাতে হয়েছে। গভীর রাতে দোকান বন্ধ হবার পর ঘুমাতেন, উঠতেন সকালে দোকান খোলার সময় বিবেচনায় রেখে। হয়তো ছাত্রজীবনে নিজের এই বৈরী দশা মনে রেখেই তার কাছে কোনো ছাত্র গেলে সাধারণ সাধ্যের বাইরেও সহায়তা করতেন। আমার জানা মতে- বৈরী পরিবেশে পড়া সাংবাদিকদের প্রতি কেবল প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নয়, ব্যক্তিগত উদ্যোগও ছিল শাহ আলমগীরের। তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এক মৃত সাংবাদিকের পরিবারের ব্যাংক লোনের বোঝা বিরাট অংকে হ্রাস পেয়েছে। তার বিশেষ উদ্যোগে ব্যাংক লোনের বিশাল বোঝা থেকে মুক্ত হয়েছে পিআইবিও। মানবিকতা ও দক্ষতাসহ নানান মাপকাঠিতে শাহ আলমগীরের মতো খুব বেশি মানুষের সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। পেশাগত জীবনে শাহ আলমগীর পৌঁছেছিলেন সর্বোচ্চ অবস্থানে। পেশাগত নেতাও ছিলেন। তার এ অধিষ্ঠান হয়েছে ধাপেধাপে, ধীরলয়ে। তাকে কেউ তাড়াহুড়া বা হাহুতাশ করতে দেখেনি। এদিকে আকাশ ছোঁয়ার অবস্থানে পৌঁছেও তিনি বদলে যাননি। অগ্রজদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছেন, বন্ধুদের সমাদর করেছেন, অনুজদের করেছেন স্নেহ। আর অনুজরাই যেনো ছিলো তার প্রধান লক্ষ্য। মমতা ও সহায়তার ছায়াতলে আশ্রয় দিয়েছেন অনুজদের। একথা সত্য যে, দুস্থ সাংবাদিকরা ছিলেন আলমগীর ভাইকে কাছে বিশেষ গুরুত্বের, আলাদা বিবেচনার। হয়তো এ কারণেই তিনি আমার প্রতি মনোযোগী হয়েছিলেন।
তাঁর প্রশংসার জন্য নয়; প্রকৃত সত্য হলো- শাহ আলমগীর একজন ভাল প্রশাসক ছিলেন। দক্ষ প্রশাসক এই অর্থে তিনি যাকে পছন্দ করেন না তাকেও কীভাবে ভাল পথে নিয়ে আসা যায় এই চেষ্টাটা করতেন। কাউকে বাদ দেওয়ার নীতিতে তিনি বিশ্বাসী ছিলেন না। কেউ অ্যাসাইনমেন্ট ফাঁকি দিলে সে যেন ফাঁকি না দিতে পারে সেই ব্যবস্থাটা তিনি করতেন। তিনি প্রায়ই বলতেন, আমার কাজ হচ্ছে ব্যবস্থাপনার কাজ। কাউকে বাদ দেওয়া আমার কাজ না। যে নিষ্ক্রিয় হবে তাকে সক্রিয় করা আমার কাজ। যারা গ্রামীণ সাংবাদিকতা করেন বা মফস্বল সাংবাদিকতায় জড়িত শাহ আলমগীর ভাই ছিলেন তাদের চিকিৎসক। চিকিৎসক এই অর্থে যারা গ্রামে বা মফস্বলে সাংবাদিকতা করেন তারা তাদের জায়গায় দক্ষ ও বিজ্ঞ। কিন্তু তাদের কাজের যে ফাঁক, অর্থাৎ তাদের সাংবাদিকতায় যেখানে যতœ দরকার সেখানেই হাত দিয়েছেন শাহ আলমগীর ভাই। যা আর কেউ করেননি। পিআইবিদর মহাপরিচালক থাকা অবস্থায় তিনি সিনিয়র সাংবাদিকদের জন্য অনেক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন। অর্থাৎ যারা শুধু ব্যবহারিক সাংবাদিকতা করেছেন কিন্তু তত্ত্বীয় জ্ঞানের অভাব ছিল তাদের নিয়ে শাহ আলমগীর ভাই প্রচুর কাজ করেছেন। তাদের সেই ঘাটতি পূরণে তিনি সক্রিয় ছিলেন। আমিও তিন বছর পিআইবিদর পরিচালক ছিলাম। তখন খুব কাছ থেকে তাকে দেখেছি। আগে পিআইবিতে বছরে ত্রিশ পঁয়ত্রিশটা প্রশিক্ষণ কর্মসূচী হতো। কিন্তু তিনি মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ছয় মাসেই এই সংখ্যা অতিক্রম করছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি একশদর উপরে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তৃতীয় মেয়াদে সেই সংখ্যা দেড়শদর কাছাকাছি গিয়েছিল। উনি একসাথে তিনতিনটা ব্যাচের প্রশিক্ষণ নেওয়ানোর উদ্যোগ নিতেন। ফলে মফস্বলের সাংবাদিকদের লেখালেখি, চিন্তা বা সাংবাদিকতায় যে ক্ষতটা ছিল শাহ আলমগীর সেই ক্ষত সারাতে সক্ষম হয়েছিলেন। শাহ আলমগীর পিআইবি’র মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে পিআইবি অবহেলিত ছিল। গণমাধ্যম কর্মীদের, গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সেখানে যাতায়াত ছিল সীমীত। কিন্তু শাহ আলমগীর বিভিন্ন বিভাগের মাধ্যমে সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। বৈপ্লবিক কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন পিআইবিতে। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পুরনো ভবনের পাশে নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি সেটা ক্ষমতায় এসে বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন কাজটা আবার শুরু হয়। ২০১৩ সালে শাহ আলমগীর মহাপরিচালক হিসেবে পিআইবিতে যোগ দেওয়ার পর যখন দেখেন ভবনের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। প্রকল্পের মেয়াদও অনেক আগে শেষ হয়ে গেছে। অর্থাৎ ২০০৯ সালে দ্বিতীয় দফায় যে কাজ শুরু হয়েছিল তাও শেষ হয়ে গেছে। উনি তখন খুব দ্রুত কাজ শেষ করার উদ্যোগ নিলেন।
পিআইবিতে সাংবাদিকদের একটা কোর্স ছিল। ডিপ্লোমা কোর্স। আওয়ামীলীগ যখন ১৯৯৬- ২০০১ সালে ক্ষমতায় ছিল তখন এটাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক মর্যাদা দান করে। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর স্নাতক মর্যাদা কেড়ে নিয়ে আবার আগের মতো ডিপ্লোমা কোর্স করে দেয়। এর ফলে যারা শিক্ষার্থী ছিল, যারা সেখানে তিন বছর পড়াশুনা করেছে তাদের সময়টা নষ্ট হলো এবং তারা ক্ষুব্ধ হলো। কিন্তু অনেক আন্দোলন সংগ্রামের পরেও শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হয় নি। পরবর্তীতে হাইকোর্টে রিট করে স্নাতক মর্যাদা আদায় করা হয়। শাহ আলমগীর ভাই পিআইবি তে মাষ্টার্স কোর্স চালু করার উদ্যোগ নেন। বর্তমানে পিআইবিতে মাষ্টার্স অর্থাৎ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী চালু আছে। তিনি পিআইবিতে একই সঙ্গে প্রচুর গবেষণামূলক কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, বঙ্গবন্ধু নিয়ে, আমাদের সংবাদপত্রের বিকাশ নিয়ে, সংবাদপত্রের অগ্রগতি নিয়ে তিনি বেশকিছু কাজ করেছেন। পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া নিয়ে তিনি অনেকগুলো কাজ করেছেন। আরও অনেকগুলো কাজ চলমান আছে। একটি ভাল ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া করতে গেলে কী ধরণের কর্মী দরকার, মালিকের মানসিকতা কেমন হওয়া দরকার, বিনোদন কতটুকু থাকা দরকার, নিউজ চ্যানেল হলে সেটার পরিকল্পনা কেমন হওয়া দরকার- এরকম অনেকগুলো নীরীক্ষামূলক কাজ তিনি শুরু করেছিলেন। অসংখ্য কাজের অনন্য কারিগর শাহ আলমগীর তাঁরকাজের মাঝে বেঁচে থাকবেন, নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিদের ভালোবাসায়-আলোআশায় বেঁচে থাকবেন। নিমগ্ন একজন ভক্ত হিসেবে অনুরাগী হিসেবে বলবো-
ভালোবাসা সহ্য করার ক্ষমতা নেই হয়তো তাই
হারাই অভিভাবক-স্বপ্নলোক
তবুও বলবো- বিনয় সহ
জীবন-কর্ম অমর হোক...
মোমিন মেহেদী : প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, অনলাইন প্রেস ইউনিটি