গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ও বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসীর মামুন বলেছেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে গণহত্যার ইতিহাস আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তুলে ধরতে হবে। তার জন্য চাই গবেষনা। এই গবেষণাগুলো ওয়েবসাইডের মাধ্যমে বৈষ্মিকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। গণহত্যা ও গণকবরগুলো আমরা এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত বা সংরক্ষন করতে পারিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় গণকবরগুলোতে স্মৃতিফলক নির্মাণ করলে যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে তাদের আত্মা শান্তি পেত।
গতকাল (২৫ ডিসেম্বর) বুধবার দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী দিনাজপুরের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু জন্ম শত বার্ষিকী ও বাংলাদেশের রজতজয়ন্তী সামনে রেখে ১শ দিনের কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন ও গুণিজন সংবর্ধনা উপলক্ষে “গণহত্যা-রাজনীতি ও স্মৃতিসংরক্ষণ” শীর্ষক সেমিনারে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী দিনাজপুর এর সভাপতি ও দিনাজপুর সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোজাম্মেল হক এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ইতিহাস সম্মিলনী দিনাজপুর এর সাধারন সম্পাদক ও দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রাধান মোঃ ছায়েদ আলী। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণহত্যা নির্যানত ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কেন্দ্র খুলনার কোর্স পরিচালক ও বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী’র সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ মাহাবুব রহমান। আলোচনা করেন বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সাধারন সম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও নজরুল পরিষদের সভাপতি ডাঃ শহিদুল ইসলাম খান ও দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যাপক মোঃ আব্দুল জলিল। সঞ্চালন করেন দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আশা লতা রায়। সভা শেষে আব্দুস ছালামকে সভাপতি ও মোঃ সাইফুদ্দিন ইমরানকে সাধারন সম্পাদক করে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী দিনাজপুর শাখার ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। সভায় বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী দিনাজপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে “রাজনীতিক এম আব্দুর রহিম মরনোত্তর সংবর্ধনা ক্রেস্ট” প্রদান করা হয় যথাক্রমে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী’ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. মুনতাসীর মামুন, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, মানবাধিকার কর্মী পদার্থ বিজ্ঞান, ুিবজ্ঞান লেখক অধ্যাপক অজয় রায়, স্থানীয় ইতিহাসবিদ মেহেরাব আলীকে।