মণিরামপুরে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাঁদার দাবীতে নবম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে আটক রাখার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে ও থানায় অভিযোগ দায়ের করায় বাদীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ চালানোর পর দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য হাতে লেখা লিফলেট ছড়িয়ে হত্যার হুমকী দেয়া হয়েছে। উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে কেউ আটক না হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় দিনপাত করছেন বাদীসহ তার পরিবারের লোকজন বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে ও গত সোমবার রাতে থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, চলতি মাসের ১২ ডিসেম্বর দুপুর ১টার দিকে উপজেলার গোবিন্দপুর-তেঘরী আদর্শ মহিলা আলিম মাদ্রাসায় বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মাহফুজা খাতুন নামের এক ছাত্রীকে একদল যুবক রাস্তা থেকে অপহরণ করে। এরপর তাকে গোবিন্দপুর নতুন বাজার এলাকায় একটি রাজনৈতিক দলের অফিসে আটক রেখে তার উপর নির্যাতন চালানোর হুমকী দিয়ে ৩০ হাজার টাকা দাবী করা হয়।
এক পর্যায় ওই রাজনৈতিক অফিস থেকে নিয়ে তাকে একটি বাড়িতে আটক রাখা হলে ওই ছাত্রীর পিতার দেয়া সংবাদের ভিত্তিতে রাত ২টার দিকে মণিরামপুর থানা পুলিশ ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ছাত্রীর পিতা গোবিন্দপুর গ্রামের রকিব উদ্দীন বাদী হয়ে একই এলাকার হাসিবুর রহমান, নাজিম উদ্দীন, রিয়াদ, বিল্লাল হোসেন, নাজমুল ও জুয়েলকে আসামি করে উপযুক্ত বিচারের জন্য প্রথমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করনে।
এ ব্যাপারে বাদীর অভিযোগ তিনি কোন বিচার পাননি। এমনকি গত ২২ ডিসেম্বর গভীর রাতে ওই ঘটনার বাদী মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা রকিব উদ্দীনের বাড়ির বিচালী ও কাঠ ঘরে অগ্নিসংযোগ চালানো হয়। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি-সাধন হয়েছে। থানায় দায়ের করা অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ চালিয়ে দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার সময় হাতে লেখা কয়েকটি লিফলেট ছড়িয়ে দিয়ে যায়। যাতে তার মেয়ে অপহরণকারীদের মধ্যে কয়েকজনের নাম রয়েছে। লিফলেটে লেখা রয়েছে তার মেয়ের ঘটনায় দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার না করা হলে জানে মেরে ফেলা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাদী রকিব উদ্দীন ও তার মাদ্রাসা পড়-য়া কন্যা মাহফুজা খাতুন দাবী করেন ওই ঘটনার পর তাদের পরিবারের স্বজনরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। মণিরামপুর থানায় অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানার এসআই দেবাশীষ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বাদীর বাড়ি পরিদর্শনসহ আসামীদের আটকের জন্য অভিযান চালায়। এখনও অভিযান অব্যহত রয়েছে।