আবুল খায়ের টোবাকোর ম্যানেজার কবির আহমেদের প্রতারনার ফাঁদে পড়ে পথে বসেছে মেহেরপুরের গাংনীর ভুসিমাল ব্যবসায়ী আবুল বাশার। প্রতিকার চেয়ে কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের দারে দারে ঘুরলেও প্রতিকার না পেয়ে উল্টো নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন তিনি। ভুসিমাল ব্যবসায়ী আবুল বাশার জানান,মেহেরপুর আবুল খায়ের ডিপোতে সরবরাহকৃত তামাকের মুল্যেবেশি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ম্যানেজার কবির আহমেদ দফায় দফায় ৮৪ হাজার ৫শত টাকা নেন। এরপর তার সাথে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারপর কবির আহমেদের সাথে সমান লাভে তামাক ব্যবসার পার্টনারশীপে চুক্তি হয়। চুক্তির পরপরই আমি ও ধারদেনা করে ২০ লক্ষাধিক টাকার তামাক স্থানীয় ব্যবসায়ী ও চাষীদের নিকট থেকে ক্রয় করি। ব্যবসায়ীক পার্টনার আবুল খায়ের টোবাকোর ম্যানেজার কবির আহমেদের কাছে ক্রয়কৃত তামাকের অর্ধেক টাকা চাইলে দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকে। এর কিছুদিন পরে ডিপোতে তামাক নেয়া হবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেন ম্যানেজার কবির আহমেদ। ১শত টাকা কেজি দরে তামাক ক্রয় করে শেষ পর্যন্ত ৪০/৫০ টাকা দরে কোম্পানীর বাইরের তামাক বিক্রি করতে বাধ্য হয়। সেখানে বিপুল পরিমান টাকা লোকসান হয়। লোকসানের সমপরিমান টাকা না দিয়ে উল্টো সেই ২ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে এমন অজুহাত তুলে নানা ভাবে হয়রানী করছে। এদিকে কবির আহমেদের আশ্বাসে বিপুল পরিমান তামাক ক্রয় করে লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসান গুনতে হয়।। এখন লোকসানের বাকী টাকা না দিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করে হয়রানী করছে। অভিযুক্ত আবুল খায়ের টোবাকোর ম্যানেজার কবির আহমেদ জানান,তামাক নয় টাকা দিয়েছি পাট ক্রয় করা জন্য। সেই টাকা এখন আবুল বাশার ফেরত দিচ্ছেনা। ঘুষ নেওয়া ও তামাক ক্রয়ের চুক্তির বিষয়ে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। আবুল খায়ের টোবাকোর আর এম ইকবাল কবির বলেন, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক কবির আহমেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।