নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে লোকসান গুনেছে চার কোটি ৫৫ লাখ ৫১ হাজার ৬৯৮ টাকা । পিডিবির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনে গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছাতে ইউনিট প্রতি .১৬ টাকা হারে লোকসানের পাশাপাশি সিস্টেম লস, ট্রান্সফরমার ও তার চুরির কারণে এ লোকসান হয়েছে। তবে বিগত অর্থ বছরের তুলনায় এবার লোকসান প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এছাড়া সমিতি ইতোঃমধ্যে ৬টি উপজেলার ৭টি পৌরসভা ও ৭১৫টি গ্রামের তিন লাখ ৪৬ হাজার নয়শ’ ৪৭১ জন গ্রাহককে সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত শতভাগ এলাকাকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছে। শনিবার বড়াইগ্রামের বনপাড়ায় সমিতির সদর দপ্তরে আয়োজিত ৩৬ তম বার্ষিক গ্রাহক সভায় সমিতির কোষাধ্যক্ষ কে এম জামিল হোসেন বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানান।
সভায় সমিতির সভাপতি ওয়াসেক আলী সোনারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল। সভায় পল্ল¬ী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) মঈন উদ্দিনের বাণী পাঠ করে শোনান বোর্ডের নাটোর অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী সাব্বির ফিরোজ। সভায় অন্যান্যের মধ্যে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম মোমিনুল ইসলাম, সাবেক এজিএম (সদস্য সেবা) গোলাম ইখতিয়ার, বোর্ডের সহ-সভাপতি জহুর আহমেদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া কলি বক্তব্য রাখেন। সভায় সমিতির ৫ নং এলাকা পরিচালক পদে সরোয়ার আলম, ৩ নং এলাকা পরিচালক পদে জহুর আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী আসনে মর্জিনা খাতুনকে মনোনীত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ১৯৮১ সালের ১২ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে প্রায় ৩৭ বছরের ব্যবধানে সেবামূলক এ প্রতিষ্ঠানটি চার হাজার ৪’শ ২ দশমিক ১০৯ কিলোমিটার বিদ্যুত লাইন সম্প্রসারণের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭১ জন আবাসিক ও অনাবাসিক গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে চলেছে। এতে এ এলাকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিসহ এক লাখ ১৫ হাজার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। তিন হাজার ১৮৬টি সেচ যন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের ফলে ৫৩ হাজার ৬৮০ একর জমি সেচ সুবিধা পাচ্ছে। ফলে শুধুমাত্র বোরো মৌসুমে এক লাখ ৫৪ হাজার ৫৩৬ মেট্রিকটন অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন হচ্ছে। এভাবে সমিতি এ এলাকার ৬টি উপজেলার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।