খাস জমিতে ভবন নির্মান, অর্পিত সম্পত্তিতে নিজের নামে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা এবং সরকারী পুকুর ভরাট করে দখল করে নেয়ার অভিযোগে পিরোজপুরের সাবেক এমপি একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুদক।
সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত বরিশাল জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক দেবব্রত মন্ডল জানান, দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ে দায়ের হওয়া এ মামলা তিনটিতে ঢাকাস্থ দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ আলী আকবর বাদী হয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, তিনটি মামলার মধ্যে একটি মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় উভয়ের স্থায়ী ঠিকানা পিরোজপুর জেলা সদরের পাড়েরহাট রোড দেখানো হয়েছে এবং বর্তমান ঠিকানা ঢাকার আদাবর থানাধীন শেকেরটেক এলাকার ৬ নম্বর রোডের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারী খাস জমি ভূয়া ব্যক্তিদের নামে বন্দোবস্ত দেখিয়ে একেএমএ আউয়াল (সাবেক সংসদ সদস্য) ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীন উক্ত জমিতে একটি দ্বিতল ভবন (প্রথম তলার ছাদ পাকা ও দ্বিতীয় তলার ছাদ টিনের তৈরী) নির্মাণ করে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। যা দন্ডবিধির ৪২০/৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ কারনে উক্ত ধারায় তাদের বিরুদ্ধে কমিশনের অনুমোদনক্রমে মামলা রুজু করা হয়েছে।
অপর মামলায়, একেএমএ আউয়াল কর্তৃক ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভিপি ‘ক’ তফসিলের জমিসহ অন্যদের জমি নিজেদের নামে অবৈধভাবে দখলকরতঃ পিরোজপুর সদরে অবস্থিত রাজার পুকুর নামে পরিচিত পুকুরটি ভরাটপূর্বক অবৈধভাবে প্রাচীর দেয়াল নির্মাণ করে জমি দখলে রেখেছেন। যা দন্ডবিধির ৪২০/৪০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ কারনে উক্ত ধারায় তার বিরুদ্ধে কমিশনের অনুমোদনক্রমে মামলা রুজু করা হয়েছে।
এছাড়াও সরকারী অর্পিত সম্পত্তি লীজ গ্রহণপূর্বক লীজের শর্ত ভঙ্গ করে এবং অদ্যবধি লীজ মানি পরিশোধ না করে আসামি একেএমএ আউয়াল ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক উত্ত সরকারী অর্পিত ‘ক’ তালিকাভূক্ত জমিতে তার নিজ নামে আউয়াল ফাউন্ডেশন নির্মাণকরতঃ অবৈধভাবে সরকারী জমি দখলে রেখে দন্ডবিধির ৪২০/৪০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। যে কারনে উক্ত ধারায় তার বিরুদ্ধে কমিশনের অনুমোদনক্রমে মামলা রুজু করা হয়েছে।