নড়াইল সদর হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা ডাক্তার বিভাস কুমার শর্মার (৩৫) বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে সদর আমলি আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে এ মামলা দায়ের করেন সদর হাসপাতালের কর্মচারী বিধান দাস। এ মামলায় বিধানের স্ত্রী রিম্পা দাসকেও (২০) আসামি করা হয়েছে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়াল অভিযোগটি আমলে নিয়ে সদর থানাকে নিয়মিত মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, সদর হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা ডাক্তার বিভাস কুমার শর্মা সদর হাসপাতালের ডক্টরস কোয়ার্টারে থাকেন। এদিকে হাসপাতালের এমএলএসএস বিধান দাস ও তার স্ত্রী রিম্পাও কর্মচারী কোয়ার্টারে বসবাস করেন। কোয়ার্টারে পাশাপাশি থাকার সুযোগে গত তিন মাস যাবত ডাক্তার বিভাস শর্মা ও রিম্পা একাধিকবার অনৈতিক সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি আদান-প্রদান করা হয়েছে। গত ৩ নভেম্বর কর্মচারী কোয়ার্টারের একটি কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের হাতে-নাতে ধরে ফেলেন মামলার বাদী বিধান দাস। অনৈতিক সর্ম্পকের ব্যাপারটি হাতেনাতে ধরে ফেলার পর চিকিৎসক বিভাস শর্মাকে সতর্ক করলে বাড়াবাড়ি না করার জন্য বিধানকে সর্তক করা হয়। এ ছাড়া তাকে হত্যা ও চাকুরিচ্যুত করার হুমকি দেয়া হয়।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ডাক্তার বিভাসের স্ত্রী চৈতি রায় স্বামীর বিরুদ্ধে জয়পুরহাটে যৌতুকের মামলা করেন। স্ত্রীর দায়েরকৃত মামলায় বিভাস কিছু দিন কারাগারে ছিলেন। মামলার বাদী বিধান দাস বলেন, সংসারে অশান্তি বিরাজ করায় এ মামলা করেছি।
অভিযুক্ত চিকিৎসক বিভাস শর্মা অনৈতিক সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কিনা জানি না। তবে তার স্ত্রী আগে একটি মামলা করেছেন। এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আবদুস শাকুরকে ফোন করা হলে তিনি সাড়া দেননি।