লোক দেখানো রেলওয়ে জিআরপি থানার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান। রেল লাইনের দু’ধার ঘেষে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গত দুই সপ্তাহে দু’বার উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদের পরপরই আবার সেখানে স্থাপনা গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে রেলওয়ের গেটকিপার অফিস পাঁচমাথা মোড় ঘরের চারপাশ যেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভরা। সামনে পেছনে রকমারি ব্যবসার কারণে একদিকে লোহা পেটানোর বিকট শব্দ অপরপাশে ফল ব্যবসায়ীদের চিৎকার বিষিয়ে তুলেছে ওই এলাকা। ফলে ট্রেন আসার শব্দটুকুও অনেক সময় গেটম্যান অনুভব করতে পারেন না। যার ফলে গত এক মাস পূর্বে সেখানে গেট খোলা অবস্থায় চলে গেছে ট্রেন। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিদিন ভাড়া তোলা হচ্ছে। আসলে এসকল আদায়কৃত টাকা কার পকেটে যায় তা জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। ভূমিদস্যুরা রেলওয়ে বাংলো থেকে শুরু করে জলাশয় পর্যন্ত অবৈধভাবে দখল করে নিচ্ছে। শেষে রেললাইন পাড়ের দু’ধারও চলে গেছে অবৈধ দখলে। এক নম্বর রেলঘুমটি পোস্ট অফিস মোড়ে যেখানে রিক্সা ভ্যান, দাঁড়াতো সেখানে দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ফলমুলের দোকান, পাশে রাস্তা দখল করে বসেছে পুরাতন কাপড় ও আখের রসের দোকান। ওই পথে আসা রেললাইন দখল গড়ে উঠেছে লন্ড্রি দোকান, নাপিতের দোকান, বালতি কারখানা, ভাঙ্গারী লোহার দোকান ও হোটেল। আরও একটু এগিয়ে স্বর্ণকার পট্টি হয়ে গড়ে উঠেছে প্লাষ্টিক দোকান, লোহা লস্কর দোকান, গো-মাংস দোকান, মুদি দোকান। দুই নম্বর রেলঘুমটি পাড় হয়ে দু’ধারে বসেছে কাঠের দোকান, ফলমূলের আড়ৎ, পান দোকান। মজার ব্যাপার রেল লাইন এর মধ্যখানে ঝুলন্ত ফলের দোকান। এগুলো দেখে মনে হয় রেলওয়ে প্রশাসন নেই। ঝিমিয়ে পড়েছে রেলওয়ে প্রশাসনের কার্যক্রম। ফলে প্রতিদিন ভূমি দস্যুরা নিজ দখলে নিচ্ছে রেলওয়ের সম্পত্তি। বিশেষ করে রেললাইন ফুটপাত দখল করে দোকান বসায় যে কোন সময় ঘটেছে দুর্ঘটনা। ইতোপূর্বে দুই নম্বর রেলঘুমটির কাছে লোকের মৃত্যুও ঘটেছে ট্রেনে কাটা পড়ে। তাই শহরের সচেতন মহল এ ব্যাপারে রেলওয়ে জিআরপি থানার ওসির সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ না করায় মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি। আসলে এ বিষয়গুলো দেখার দায়িত্ব রেলওয়ে থানার। কিন্তু প্রতিদিন এ অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। এ টাকাগুলো কোথায় যায় তার উত্তর নেই দায়িত্বে থাকা কর্তাদের কাছে।