দুই হাত নেই। ডান পা নেই। বাঁ পা রয়েছে, তা-ও আবার স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক ছোট। সেই পায়ের আঙুলের ফাঁকে কলম রেখে পরীক্ষা দেয়া কিশোর রাসেল ৩.৩৯ পেয়ে জেডিসি পাশ করেছে। সে সিংড়া পৌর শহরের শোলাকুড়া মহল্লার দিন মজুর কৃষক আবদুর রহিম মৃধার ছেলে। তার এই অদম্য স্পৃহা সকলকে বিস্মিত করেছে।
সূত্রে জানা যায়, প্রতিবন্ধী রাসেল শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে জেডিসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তার শারিরীক প্রতিবন্ধীকতা তাকে দমাতে পারেনি। আর তার লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ ও মনোবল দেখে হাল ছাড়েননি রাসেলের বাবা-মা।
রাসেলের মা লাভলী বেগম জানান, তার দুটি সন্তান নিয়ে তিনি সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিবন্ধী এই ছেলের বেঁচে থাকার জন্য একটি কর্মই তাদের আশা। সরকারি সহায়তা পেলে রাসেলকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলবেন।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, ছেলেটির হাত ও পা না থাকা সত্বেও ছোট্র একটি পা দিয়ে লিখে পরীক্ষায় পাশ করা তার অদম্য স্পৃহা সকলকে মুগ্ধ করেছে। তার জন্য একটি হুইল চেয়ার ও জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ মহোদয় তার লেখাপড়ার জন্য ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছেন।
উল্লেখ্য গত ৬ নভেম্বর যুগান্তরের ১৬ পৃষ্টায় “পায়ে লিখে পরীক্ষা দিচ্ছে সিংড়ার রাসেল” খবর প্রকাশিত হয়।