নতুন বছরের প্রথম দিনে দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সারদেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে জাতীয় বই বিতরণ উৎসবই নয় একাধারে ডিজিটাল ক্লাশ রুম, ব্যতিক্রমধর্মী ২ টাকার ব্যাংক থেকে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদান, হস্তশিল্প বিপণন কেন্দ্রর উদ্বোধন করা হয়।
এ স্কুলের শিক্ষার্থীরা নতুন বই নিয়ে নতুন ডিজিটাল ক্লাসরুমগুলোতে ক্লাস করতে পারবে ভেবে উল্লাসে ফেঁটে পড়ে। আবার শিক্ষার্থীদের নিজের তৈরী হস্তশিল্পগুলোর বিপণন কেন্দ্র চালু করা হয়। বুধবার দুপুরে স্কুলের ব্যতিক্রমধর্মী ২ টাকার ব্যাংক থেকে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের নতুন স্কুল ড্রেসসহশিক্ষা উপকরন বিতরনও বই উৎসবের নতুন মাত্রা যোগ করে।
গতকাল বুধবার দুপুরে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম বই বিতরণ উৎসবসহ ডিজিটাল ক্লাশ রুম, সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদান, হস্তশিল্প বিপণন কেন্দ্র’র উদ্বোধন করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা নতুন বই পেয়ে উল্লাসে ফেঁটে পড়ে। কমলমতি শিক্ষার্থীরা নতুন বইয়ের ঘ্রাণে আত্মহারা হয়ে ছুটাছুটি করে। বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শুভশ্রী জানান, নতুন বই পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আরেক শিক্ষার্থী জান্নাতুন জানান, নতুন বইয়ের ঘ্রাণে আমরা উল্লাসিত। এসময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের বই উৎসবে শিক্ষার্থীরা বই পেয়ে আত্মহারা হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের এই উৎসবই দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার প্রতীক।
সারদেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বই উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মো: ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও অতিথি ছিলেন দিনাজপুর জেলা সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক আবু হেনা মো: আশিকুর রহমান, দিনাজপুর প্রেসক্লাব সভাপতি স্বরূপ কুমার বকশী বাচ্চু, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার রায় প্রমুখ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার রায় জানান, বিদ্যালেয় উদ্ভাবনী কার্যক্রম পরিচালনা করায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হ্রাস পেয়েছে ৯০%। ২০১৮ সালে ঝরে পড়েছে ৫৩ জন শিক্ষার্থী কিন্তু ২০১৯ সালে এ উদ্ভাবনী কার্যক্রম ২ টাকার ব্যাংক ও হস্তশিল্পের মাধ্যমে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৫জনে। এ কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণ বিদ্যালয়ে সফলতার স্বাক্ষর রাখছে। শিক্ষার্থীরা খেলাধুলাতে এনে দিয়েছে অনেক পুরস্কার। আগের চেয়ে বিভিন্ন পরীক্ষার রেজাল্টও অনেক ভাল।