প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২০১৯ সালে কাপাসিয়ার তারেক মাহমুদ ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। সে শাহীন স্কুল, গাজীপুর থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে সর্বমোট ৫৯৩ নম্বর পেয়ে গাজীপুর জেলায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তারেক মাহমুদের পিতা কাপাসিয়া উপজেলার ভাকোয়াদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও মাস্টার ট্রেইনার মোঃ নজরুল ইসলাম এবং মাতা গাজীপুর সদরের বাড়িয়া-২, হেল্থ এসিস্ট্যান্ট ফাতেমা নজরুল। তাঁদের প্রথম পুত্র শাহ্রিয়ার ইসলাম নিশাত ২০১৭ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে কাপাসিয়া উপজেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিল। তাঁদের বাড়ি কাপাসিয়া উপজেলার উরুন গ্রামে। তারেক মাহমুদ এবছর উত্তরার ‘রাজউক স্কুলে’ ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। তার পরিবারসহ সে সকলের দোয়া প্রার্থী।
উল্লেখ, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় গড় পাসের হারে দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে এবার সেরা হয়েছে গাজীপুর জেলা। গাজীপুরের গড় পাসের হার ৯৯ দশমিক ১৪ শতাংশ। দেশ সেরা হওয়ার খবরে জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আনন্দ উল্লাস চলছে। শিক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরই পরিশ্রমের ফল। এ জেলায় সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা ৭৭৫টি। এছাড়া কিন্ডারগার্টেনসহ বেসরকারি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে ১ হাজার ৯৯৯টি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর গাজীপুর জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৬১ হাজার ৭৬৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এতে পাস করেছে ৬১ হাজার ৪৬৮ জন, আর ফেল করেছে ৩০১ জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ১৩৯ জন। এছাড়া ইবতেদায়ি পরীক্ষায় ৪ হাজার ৮৭১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪ হাজার ৭৫৮ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। তাদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪৭৯ জন। এ পরীক্ষায় ফেল করেছে ১১৩ জন শিক্ষার্থী।
জেলার মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ, কালিয়াকৈর উপজেলায় ৯৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, কাপাসিয়া ৯৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ, শ্রীপুর উপজেলায় ৯৯ দশমিক ৫১ শতাংশ, সদর উপজেলায় ৯৯ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং টঙ্গীতে পাসের হার হলো ৯৬ দশমিক ৬১ শতাংশ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মোফাজ্জল হোসেন বলেন, জেলার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সচেতন থাকায়, শিক্ষকরা আন্তরিক থাকায়, প্রশ্নকাঠামো সঠিকভাবে অনুসরণ করায় এবং শিক্ষা কর্মকর্তাদের ভালো সুপারভিশন থাকায় এবার প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় দেশের শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।