একসময়ের দুর্দান্ত মাঠ কাঁপানো কৃতী খেলোয়াড় তিনিই এখন উন্নয়নের ফেরিওয়ালা।তিনি হলেন সাংসদ আনোয়ারুল আজীম(আনার)। যিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও গসপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন তহবিল হতে-নিজ সংসদীয় আসনে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার সর্বচ্চো উন্নয়ন বরাদ্ধ দিয়ে সংসদ সদস্যদের মধ্যে রেকর্ড করতে চলেছেন।সদালপী ও বিনয়ী হাস্যজ্জ্বল মানুষটিকে সকলেই চিনতো খোলোয়াড় হিসাবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাই ছিলো তার নেশা।শৈশব-কৈশরের গন্ডি পেরিয়ে যৌবনের প্রথম পদার্পনে খেলাকেই তিনি প্রাধান্য দিয়েছেন সবথেকে বেশী।যার হাতেই বাংলাদেশের সর্বপ্রথম অনুর্ধ-১৭এর রানার্সআপ কাপ শোভাপায়। যিনি দীর্ঘদিন জেলা ফুটবল/ক্রিকেট টিমের নেতৃত্ব দিয়েছেন। খেলধুলার পাশাপাশি রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন-১৯৯০ সালে। কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্নসাধারন সম্পাদক থেকে পৌর আওয়ামীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।তারপর হতে-সবসময়ই বিচরন করেন নির্বাচনী এলাকায়। মানুষের সাথে নিবিড়ভাবে মিশে চলায় যার প্রথম এবং প্রধান কাজ। তিনি হলেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম(আনার)।তৃর্ণমুল থেকে উঠে আসা দেশের দক্ষিন পশ্চিমা অঞ্চলের সবথেকে জনপ্রিয় জননেতা। যার রাজনৈতিক পদচারনা শুরু হয় কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের মধ্যদিয়ে। তিনি ১৯৯৩ সালে অল্প বয়সে কালীগঞ্জ পৌরসভার কমিশনার নির্বাচিত হয়। যাকে সবাই আনার কমিশনার বলেই চিনতো। অল্প বয়সে কমিশনার নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা নিয়ে ২০০৪ সালে মেয়র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।নির্বাচনে জয়লাভ করার পরও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পরাজয় বরন করতে হয়। শুধু তাই-ই নয় অসংখ্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়নতার কারণে প্রায় ৩০টি মামলায় ফেরারী আসামি হতে হয়। তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড এলার্ট জারী করে প্রশাসন। প্রানভয়ে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় নেয়। সেই মানুষটিই ২০০৪ সালে দেশের বাইরে থেকে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালে দলীয় মনোনয়ন পান। কিন্তু বিধি বাম!মামলা জটিলতার কারণে দলীয় হাইকমান্ড মনোনয়ন পরিবর্তন করেন। ২০০৯ সালে সারা বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট ব্যাবধানে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর থেকে বেশী ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সফলতার সাথে উপজেলা পরিষদের সকল কর্মকা- পরিচালনা করতে সক্ষম হন। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর হতে দলের তৃর্ণমুল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়মিত খোঁজখবর রাখতেন। যে কারনেই দলীয় হাইকমান্ড বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাকে-২০১৪ সালে ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন দেন। রেকর্ড পরিমান ভোট ব্যবধানে সাংসদ নির্বাচিত হবার পর নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সবসময় দলীয় কর্মকা- পরিচালনা করেছেন। শুধু তাই-ই নয় সাধারন মানুষের সাথে নিবিড়ভাবে মিশে যান তিনি। উন্নয়ন মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে মসজিদ-মাদ্রাসা-ওয়াজ মাহফিল-মিলাদ মাহফিল-শ্মশান ঘাট-গির্জা-স্কুল-কলেজ-রাস্তা-ঘাট-হাট বাজারে তার পদচারনা ঘটে। সাংসদ আনার দক্ষিন বঙ্গের সবথেকে বেশী মৃত মানুষের নামাজের জানাজায় অংশগ্রহণ করেছেন।দলীয় কিংবা ভিন্ন দলের মানুষের মৃত খবর শোনা মাত্রই সেই বাড়ীতে পৌঁছে যান। তিনি সরকারী কোন সংস্থার প্রটোকল ছাড়াই মোটর সাইকেলে নিজ জনপদে ছুটে বেড়ান। কোকিল ডাকা ভোর হতে গভীর রজনী পর্যন্ত সাধারন মানুষের জন্য কাজ করেন। ছুটে যান একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। সাংসদ আনার নিজ এলাকার অসংখ্য মানুষের বিনা টাকায় চাকুরীদিয়ে স্বচ্ছলতার ব্যবস্থা করেছেন। নিজ তহবিল থেকে কিংবা সরকারী অনুদান থেকে হাজার হাজার মানুষের চিকৎসা সেবার ব্যবস্থা করেছেন। নিজ অর্থায়নে কিংবা সরকারী অর্থায়নে অসংখ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। নিজে এ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত রোগীদের হাসপাতাল কিংবা বাড়ীতে পৌঁছে দিবার নজির রেখেছেন। সারাদেশে সর্বোচ্চ উন্নয়ন বরাদ্ধ দিয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকাতে সর্বোচ্চ বরাদ্ধ(প্রায় ১৫০০ কোটি)টাকার উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছেন। যে কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাকে ২য় বার দলীয় মনোনয়ন দেন।তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন-দলীয় সুত্রে জানাযায়-২০১৯ সালে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে তাকে, উন্নয়নের ফেরিওয়ালা,ছাত্র-গণ সংবর্ধনায় ভূষিত করেন। সাংসদ আনার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সকল সংসদ সদস্যদের রেকর্ড ভেঙ্গে মডেল কালীগঞ্জ গড়তে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন। তিনি ভূষন হাইস্কুল ও মাহতাব উদ্দীন কলেজকে সরকারী করন করতে সক্ষম হয়েছেন-। সাংসদ আনার ১৯৬৮ সালের ৩রা জানুয়ারী পৌরসভার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন।তারা বাবার নাম মরহুম ইয়াকুব আলী বিশ্বাস।