নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের (পিপিএম-বার) পরামর্শক্রমে ও লোহাগড়া থানার এসআই মিলটন কুমার দেবদাসের উদ্যোগে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালকদের মাঝে টিয়া রঙের বিশেষ জ্যাকেটের ব্যবহার শুরু হয়েছে। শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে লোহাগড়া উপজেলা সদরের লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তা এলাকায় এই বিশেষ জ্যাকেট বিনামূল্যে বিতরণ করেন এসআই মিলটন কুমার দেবদাস।
তিনি বলেন, ভাড়ায়চালিত ৮০ জন মোটরসাইকেল চালকের মাঝে টিয়া রঙের বিশেষ জ্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে লোহাগড়া সড়কে ৬৫ এবং নড়াইল সড়কে ১৫ জন চালক রয়েছে। এই জ্যাকেটের মধ্যে পুলিশের বিশেষ চিহৃ রয়েছে। যাতে করে অপরাধীরা ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল ব্যবহার করে সহজে আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করতে না পারে এবং যাত্রীসাধারণ তাদের (ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল) সহজে চিনতে পারেন। এছাড়া কেউ যেন হঠাৎ করে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালক সেজে যাত্রীদের বিভ্রান্ত করতে না পারে, সেই লক্ষ্যেই এই জ্যাকেটের ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। জ্যাকেট ব্যবহারের পাশাপাশি তারা হেলমেটও পরবেন। এতে ভাড়াচালিত মোটরসাইকেলের অপব্যবহার কমবে বলে আশা করছি। গতকাল (শনিবার) থেকেই এ জ্যাকেটের ব্যবহার শুরু করেছেন ভাড়াচালিত মোটরসাইকেল চালকেরা।
এসআই মিলটন কুমার দেবদাস আরো জানান, পর্যায়ক্রমে লোহাগড়া অঞ্চলের ইজিবাইক, অটোভ্যান ও জেএসএ চালকেরাও এই জ্যাকেট ব্যবহার করবেন।
ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন স্যার সবসময় ভালো কাজের চিন্তা-ভাবনা ও উৎসাহের কথা বলেন। স্যারের এই কথা মাথায় রেখে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালকসহ অন্যান্য যানবাহন চালকদের জন্য এ উদ্যোগের কথা ভাবি।
এই জ্যাকেট প্রদানে সহযোগিতা করেছেন ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল সমবায় সমিতি লোহাগড়া অঞ্চলের সভাপতি আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফ্ফার ও কোষাধ্যক্ষ বাহার সরদার উকিলসহ চালকেরা ৷
এদিকে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এসআই মিলটন কুমার দেবদাসের এ ধরণের ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেন, নড়াইল, লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলার অসংখ্য বেকার যুবক দীর্ঘদিন ধরে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবন-জীবিকা অর্জন করে আসছেন। অনেক সময় অপরাধীচক্রের হাতে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালক ও যাত্রীদের জীবন বিপন্ন হয়েছে। মোটরসাইকেলের চালক বা যাত্রী সেজে অপরাধীরা হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা ঘটিয়ে মোটরসাইকেল, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনতাই করেছে। এখন থেকে এ ধরণের অপরাধ কমবে বলে আশাবাদ তাদের।