মণিরামপুরে ৫ গ্রামের প্রায় ২’শ কৃষকের জমি লীজ নিয়ে মৎস্য ঘের করে মাছের ব্যবসা মেয়াদকাল শেষ হলেও কৃষকদের জমি ফেরত না দেয়ার সংবাদ সম্মেলন করেছে ২ মৎস্য ঘের মালিকের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন পর্যায়ের ২’শ কৃষক তাদের জমি বুঝে নিতে চাইলে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে লাঞ্চিতসহ তাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ নানাভাবে হুমকী দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পাঁচ গ্রামের কৃষকসহ তাদের পরিবারের লোকজন। চুক্তিনামা মোতাবেক জমি বুঝে না দেয়ার অভিযোগ এনে গত রবিবার বিকেলে মণিরামপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী জমির মালিক কৃষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম খান তার লিখিত বক্তব্যে দাবী করা হয়, মণিরামপুর উপজেলার গৌরীপুর, আটঘরা, রতনদিয়া ও রত্মেশ্বরপুর গ্রামের এবং কেশবপুর উপজেলার মূলগ্রামের আংশিক মিলিয়ে মোট ২’শ কৃষকের বিল বলধালী এলাকায় ২’শ বিঘা জমি ৭ বছরের জন্য বিগত ২০১২ সালে লীজ গ্রহণ করেন দুই মৎস্য ব্যবসায়ী। এরা হলেন কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া এলাকার মৃত মহাসিন মোল্লার পুত্র ফেরদৌস আহম্মেদ বাবু এবং মণিরামপুর উপজেলার হাঁসাডাঙ্গা গ্রামের আবু তালেবের পুত্র সুলতান আহম্মেদ। উক্ত বলধালী বিলে অন্যান্য কৃষকদেরসহ মোট ৪’শ ৫০ বিঘা জমি নিয়ে তারা একটি বড় মৎস্য ঘের তৈরী করেন। গত ৩০/১২/২০১৯ খ্রিস্টাব্দ কৃষকদের নিকট থেকে স্ট্যাম্পে চুক্তি মোতাবেক জমি লীজ নিয়ে মাছের ব্যবসার মেয়াদকাল শেষ হয়েছে। ফলে ৫ গ্রামের ২’শ কৃষকের উক্ত জমি ঘের মালিকদের নিকট থেকে বুঝে নিতে চাইলে তারা স্থানীয় সন্ত্রাসীচক্র ভাড়া করে কৃষকদের পর্যায়ক্রমে লাঞ্চিতসহ নানা ধরনের হুমকী দেয়া হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয়। জমি ফেরত না দেয়ায় ভুক্তভোগী কৃষকদের মধ্যে অধিকাংশরা বর্তমানে অসহায় জীবন-যাপনের পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কৃষকদের জমি বুঝে দেয়াসহ সন্ত্রাসীদের হুমকী থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ গ্রামের কৃষকের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মণিরামপুর উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসেন খানের পুত্র শহিদুল ইসলাম খান। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সকল কৃষকের পক্ষে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডা. আব্দুল আলীম, আব্দুল হাই, ডা. আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, আজহার আলী, আব্দুল গফুর, আনোয়ারুল ইসলাম, আবুল হোসেন, আব্দুল বারী মোল্লা, আবু সাঈদ, আব্দুল বারী গাজী প্রমূখ।