ওদের ৪ জনকে নয়, ৩ জনকে ধরে ফাঁড়িতে আনা হয়েছিলো। সেদিন মাদক গ্রহনকালে ওদের ধরে এনে মুছলেকায় ছেড়ে দেয়া হয়। বিষয়টি মিডিয়ায় ফলাও প্রচার করা হলে আমি হয়তো একটু চাপে পড়বো জানি, কিন্তু তাতে আমার কিছুই হবেনা। কারন কামাইতে গেলে একটু চাপ সহ্য করতেই হবে। আর আমি চাপে পড়তে পছন্দ করি।
মাদক সেবনকালে ৪ জনকে ফাঁড়িতে এনে ছেড়ে দেয়া প্রসঙ্গে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসাই শাহাবুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ দাম্ভিকতার সহিত কথাগুলো বলেন। জানাযায়, ইনচার্জ এসআই (উপ-পরিদর্শক) শাহাবুল আলম শুক্রবার রাতে জোঁকা গ্রামের আব্দুল গনির অগভির নলকূপের ঘর থেকে মাদক সেবনকালে মাদকসহ দিঘিরপাড় গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান, কোমলপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল গনি, জোঁকা গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে জহুরুল ইসলাম এবং একই গ্রামের আনছারের ছেলে জাকির হোসেনকে আটক করে ফাঁড়িতে আনে। এক পর্যায় মোটা অংকের বিনিময়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসআই শাহাবুল আলম দাম্ভিকতার সাথে বলেন, ৪ জনকে নয়, ৩ জনকে ধরে ফাঁড়িতে আনা হয়েছিলো। ওরা সেদিন মাদক গ্রহন করেনি। তবে, তারা মাদক গ্রহন করে বলে দাবি করে তিনি বলেন, মাদক না পাওয়ায় মুছলেকায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনার দুইদিন পর জানতে চাচ্ছেন উল্লেখ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি মিডিয়ায় ফলাও প্রচার করা হলে আমি হয়তো একটু চাপে পড়বো। তাতে যায়-আসেনা। কারন আমি চাপে পড়তে পছন্দ করি।”
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদেরকে ধরে স্থানীয় কোমলপুর বাজারের নৈশ প্রহরীর মাধ্যমে ফাঁড়িতে আনা হয়। আর টাকা নেয়ার প্রশ্নই উঠে না। তার কথার সূত্র ধরে শনিবার সরেজমিন ওই এলাকায় গেলে স্থানীয় পীরবক্স নামের এক বয়োবৃদ্ধ অগভীর নলকূপের ঘর দেখিয়ে দিয়ে বলেন, এখানে সেদিন রাতে ঘর ঘিরে পুলিশ তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে আব্দুল গণিকে মারধর করে কিছু টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। বাকিদের ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া নিয়ে টাকার বিনিময়ে তাদের মুক্তি মিলে বলে তিনি শুনেছেন। আটক জহুরুল ইসলামের দাদা বাবুর আলী বলেন, বোঝেন-তো পুলিশ ধরলে কিছুতো মিষ্টি খেতে দিতেই হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহিনা পরভীন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সন্ধ্যার পর ডিপ (অগভীর নলকূপ) ঘরে মাদকের আসর বসে। আর কোমলপুর বাজারের আতিয়ার রহমান নামের এক নৈশ প্রহরী জানান, পুলিশ কাউকে নিয়ে তাদের কাছে আসেনি। মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ফাঁড়িতে এনে মুছলেকায় ছেড়ে দিলেও তাকে জানানো হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।